শ্রম দফতর সূত্রে খবর, ইএসআই হাসপাতালগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে পাখা, লাইট, এসি মেশিন-সহ সমস্ত ইলেকট্রিক ওয়্যারিং ঠিক কী পরিস্থিতিতে আছে, তা খতিয়ে দেখা হবে ‘পাওয়ার অডিটে’। কোথাও বিদ্যুতের ভোল্টেজ ওঠা নামা করে, কিংবা ভোল্টেজের কোনও বড় ধরনের সমস্যা আছে কি না, তা-ও পাওয়ার অডিটে ধরা পড়ে যাবে। এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট তৈরি করা হবে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখবেন শ্রম দফতরের শীর্ষ আধিকারিকেরা। আর প্রয়োজনমাফিক প্রতিটি হাসপতালেই ‘ইলেকট্রিক ওয়্যারিং’-সহ সমস্যা তৈরি হওয়া জায়গাগুলিতে সংস্কারের কাজ করা হবে।
বর্তমানে রাজ্যে ১৩টি ই আরও দুটি তৈরি হচ্ছে হলদিয়া ও মধ্যমগ্রামে। এই পর্বে দেখা হচ্ছে, সেই দুটি হাসাপাতাল তৈরির ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা রয়েছে কি না। সে ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা দেখা দিলে তা ঠিক করতে বলেছেন মন্ত্রী। তবে শিয়ালদহ ইএসআইয়ের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আরও বিশ্লেষণ করে দেখতে চায় শ্রম দফতর। কারণ আগামী দিনে যাতে এই ধরনের ঘটনা এড়িয়ে চলা যায়, সে বিষয়েও বৈঠকে আধিকারিকদের বিশেষ নজর দিতে বলেছেন। তবে এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সংস্থাও এই দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না বলে জানিয়েছেন শ্রম দফতরের এক কর্তা। কারণ হাসপতালে আন্ডারগ্রাউন্ড জলের রিজার্ভার তৈরি করে আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সংস্থা ইএসআইসি কর্তৃপক্ষের।