বহরমপুরে তৃণমূল নেতা প্রদীপ দত্ত খুনে ভাড়া করা হয়েছিল সুপারি কিলার। বেশ কিছুদিন এলাকায় নজরদারি করে চূড়ান্ত করা হয়েছিল পরিকল্পনা। জমি ব্যবসায়ী তৃণমূল নেতার খুনে উঠে এসেছে এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের আরও দাবি, পাড়ারই এক যুবককে প্রদীপবাবুর ওপর নজরদারির জন্য নিয়োগ করেছিল খুনিরা।
গত ১৫ অক্টোবর সকালে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে বাড়ির সামনে খুন হন জমি ব্যবসায়ী প্রদীপ দত্ত। তাঁকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালায় দুষ্কৃতীরা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে বছর কয়েক জমির কারবার শুরু করেছিলেন এই তৃণমূল নেতা। জমি ব্যবসায় দ্রুত উত্থান ঘটছিল তাঁর। যার জেরে শহরের বেশ কয়েকজন পুরনো জমি ব্যবসায়ীর চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তদন্তকারীদের অনুমান ব্যবসায়িক রেষারেষি থেকেই এই খুন।
তদন্তকারীরা আরও জানাচ্ছেন, জাতীয় সড়কের পাশে একটি বড় প্রকল্প তৈরি করছিলেন প্রদীপ। সেই প্রকল্পে নজর ছিল অনেকের। কিন্তু প্রকল্প হাতে না পাওয়ার আক্রোশে তাঁকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে।
তদন্তে উঠে এসেছে, প্রদীপ দত্তকে খুন করার জন্য ভাড়া করা হয়েছিল বেশ কয়েকজন সুপারি কিলার। তারা বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছিল। কোন রাস্তা দিয়ে এসে খুন করে কোন রাস্তা দিয়ে পালাতে হবে সব আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিল তারা। এমনকী প্রদীপবাবুর ওপর প্রতি মুহূর্তে নজরদারি চালাতে পাড়ারই একটি ছেলেকে নিয়োগ করেছিল তারা। বুবাই দাস নামে সেই যুবককে আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনিদের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চলছে।