• কীভাবে ন্যায়বিচার পেতে হয়, আমি শেখাব, জুনিয়র ডাক্তারদের ‘পথ’ দেখাবেন কুণাল ঘোষ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • সোমবার জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মিটিংয়ে বসবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে একেবারে দল বেঁধে নেমে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। জুনিয়র ডাক্তারদের একের পর এক আক্রমণ করছেন কুণাল ঘোষ। শনিবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামের বিজয়া সম্মিলনী থেকে চিকিৎসকদের মুখোশধারী বলে কটাক্ষ করেন কুণাল। আর রবিবার সন্ধ্যায় সেই জুনিয়র ডাক্তারদের একেবারে বেলাগাম আক্রমণ করলেন তিনি।

    চিকিৎসকদের সঙ্গে ওষুধ কোম্পানির অসাধু যোগ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তিনি।

    তিনি লিখেছেন, সরকারি স্বাস্থ্যপ্রশাসনে টেন্ডার বা বিষয়ের দুর্নীতি ভাঙা হোক। কিন্তু সঙ্গে ডাক্তারদের একাংশের রোগীর বিল বাড়িয়ে ওষুধ কোম্পানি, পরীক্ষার ল্যাব, পেসমেকারসহ সরঞ্জাম, প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে কাটমানি/কমিশন খাওয়া বন্ধ হোক। মানুষের মেডিকেল খরচ কমে যাবে। এই বিষয়টায় আরও বেশি সংখ্যক পরিবারের ক্ষতি হচ্ছে। ডাক্তাররা এই বিষয়ে একটি কথাও বলেন না কেন? আপনাদের দাবিতে এসবও থাকুক। না হলে 'সাধারণ মানুষের স্বার্থে লড়াই' বলবেন না।

    এদিকে কুণাল ঘোষকে কার্যত অভদ্র বলে উল্লেখ করে তাঁর কথায় কোনও প্রতিক্রিয়া দেবেন না বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপরেই ….

    অপর একটি টুইটে কুণাল লিখেছেন, নির্দিষ্ট প্রশ্নগুলির উত্তর না থাকায় জুনিয়র ডাক্তাররা সাংবাদিক বৈঠক থেকে প্রশ্ন এড়িয়ে পালিয়ে গেলেন।

    ওঁরা নাকি আমার প্রশ্নের উত্তর দেবেন না। আরে, থাকলে তো দেবেন।

    দাদারা শিখিয়ে দিয়েছেন, কুণাল ঘোষের কথার সঙ্গে জড়াতে যেও না। নাম শুনলেই পালাও।

    বাম, অতি বামের কথায় জুনিয়র ডাক্তাররা সম্পূর্ণ নেতিবাচক বিশৃঙ্খল পথে যাচ্ছেন।

    কোনো অনশনকারী অসুস্থ হলে বা তাঁদের কোনও ক্ষতি হলে দায়ী থাকবেন এই সাংবাদিক বৈঠকে ফুটেজ খাওয়া মাতব্বররা।

    অন্য একটি টুইটে কুণাল লিখেছেন, " বাবা কচি, বাম-অতি বাম দাদাদের শেখানো বুলি আউড়ে বিপদে পোড়ো না।

    হ্যাঁ, আমি কুণাল ঘোষ প্রকাশ্যে বিচার চেয়েছিলাম। প্রতিকূলতার মধ্যেও বিচার চেয়েছিলাম। বিচার পাচ্ছি। কোর্ট রায় দিয়েছেন আমাকে অন্যায্য মামলায় বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সঙ্গের মামলাও লড়ছি। ন্যায়বিচার চাইলে আমার কাছে এসো। রাস্তায় নাটক না করে কী করে আইনসম্মত ন্যায়বিচার পেতে হয়, শিখিয়ে দেব।' লিখেছেন কুণাল।

    'তোমরা বিচিত্রবীর্য গোস্বামী বা খাট সুশান্তর কোচিং থেকে বেরোও। একজন অনশনকারীর যদি ক্ষতি হয় বা মঙ্গলবার তথাকথিত ধর্মঘটে যদি একজন রোগীর ক্ষতি হয়, তোমরা, ফুটেজ খাওয়া মাতব্বরা, যাদের জন্য প্রাইভেট হাসপাতালের মুনাফা বাড়ছে, তারাই দায়ী থাকবে।"
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)