• কোর কমিটির কাজে খুশি অনুব্রত মণ্ডল
    বর্তমান | ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি ও সংবাদদাতা, রামপুরহাট: আগেই একসঙ্গে চলার বার্তা দিয়েছেন। এবার তাঁর অনুপস্থিতিতে জেলা কোর কমিটি দল পবিচালনায় সন্তোষ প্রকাশ করলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। রবিবার রামপুরহাট-২ ব্লকের কড়কড়িয়া জয়তারা বিদ্যাপীঠ প্রাঙ্গণে বিজয়া সম্মিলনীতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ২০২১সালে বিধানসভা ভোট করেছি। তারপর কোর কমিটি ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচন করেছে। লোকসভার ফলাফলের নিরিখে জেলার ১১টি বিধানসভাতেই আমাদের লিড রয়েছে। বিধানসভা ভোটে হাতছাড়া হওয়া দুবরাজপুরেও আমরা এগিয়ে রয়েছি। এজন্য কোর কমিটিকে ধন্যবাদ জানাই। তবে আগের মতো নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে আর নেই অনুব্রত। তিনি এখন দলীয় কর্মীদের মাঝে থাকতেই বেশি পছন্দ করছেন। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে আগ্রহী নন তিনি। 


    গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত জেলযাত্রার পর ছয় সদস্যের কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদা অনুব্রতর বিরোধী হিসেবে পরিচিত কাজল শেখকে আবার সামনের সারিতে এনেছিলেন নেত্রী। কোর কমিটিই জেলা সভাপতির অনুপস্থিতিতে দল পরিচালনা করে। লোকসভার দু’টি আসনেই রেকর্ড ভোটে জয়লাভ করে তৃণমূল। পঞ্চায়েতেও ভালো ফল করেছে। জেল থেকে জামিনে ফেরার পর এদিন সেই সেই কোর কমিটির কাজের প্রশংসা করলেন অনুব্রত। 


    এখন আগের মতো জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা নেই। সভা শুরুর আগে থেকে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি নেই। কঠোর ঘেরাটোপ না থাকায় মঞ্চে তাঁর সামনে দিয়েই যাওয়া আসা করছেন নেতা-কর্মীরা। দু’বছর আগে পর্যন্ত যা ছিল প্রায় অসম্ভব। এখন যে কেউ ইচ্ছে করলেই অনুব্রতর কাছে যেতে পারছেন। নিরাপত্তার কড়াকড়ি নেই। জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, অনুব্রত মণ্ডল আগে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতেন। যেমন সেফ হাউস, মেডিক্যাল টিম, এএস চেকিং, এসকর্ট ও পাইলট গাড়ি সহ নানা নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল তাঁর জন্য। এখন ১৬-১৭ জনের মতো ফোর্স দেওয়া রয়েছে। 


    তৃণমূলের এক নেতা বলেন, আগে উনি এসআরডিএর চেয়ারম্যান থাকায় পাইলট কার পেতেন। রবিবার নিরাপত্তা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে আগে যে তাঁর জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা ছিল তা মনে করতে পারছেন না বলে জানান। এখন কতজন ফোর্স রয়েছে তাও জানেন না তিনি। প্রতিটি কর্মসূচিতে বলছেন, আমি কর্মী হয়েই থাকতে চাই। 


    এদিন মহম্মদবাজারেও বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দেন অনুব্রত। সেখানে তিনি দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, মানুষের পাশে থাকুন। আরও পরিষেবা দিন। পঞ্চায়েতে গেলে খ্যাঁক খ্যাঁক করবেন না। দেউচা পাচামি কয়লা খনি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি নিজে হাতেই ৩৫০জনকে চাকরি দিয়ে গিয়েছি। প্রচুর চাকরি হবে। এর বেশি বিতর্কে যেতে চাই না। 


    এদিনও বিজয়া সম্মিলনীতে গরহাজির ছিলেন কাজল শেখ। রামপুরহাটের একটি অনুষ্ঠানে কাজল বলেন, অনুব্রত মণ্ডল আমার অভিভাবক। কিন্তু বিগত দিনে বীরভূমের রাজনীতির রাশ স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হাতে নিয়েছেন। তাঁর নির্দেশে গঠিত কোর কমিটি পঞ্চায়েত ও লোকসভায় অভাবনীয় ফল করেছে। আমি সভাধিপতি হওয়ায় সরকারি কাজে ব্যস্ত থাকি। তাই যেতে পারছি না। তবে সোমবার সিউড়িতে দু’টি বিজয়া সম্মিলনীর মধ্যে একটিতে যাব।
  • Link to this news (বর্তমান)