• রোদ ঝলমলে আবহাওয়া, কালী প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা
    বর্তমান | ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বোলপুর: আর দিন দশেক বাদেই দীপাবলি ও শ্যামা কালীর পুজো। বোলপুরের মৃৎশিল্পীরা কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন প্রতিমা তৈরির কাজে। দুর্গাপুজোর আগে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে যে দুর্ভোগে তাঁদের পড়তে হয়েছিল, কালীপুজোর আগে তা নেই। গত কয়েকদিন ধরেই আবহাওয়া অনুকুল। রোদ ঝলমলে আকাশ। ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি দেখা দিতে পারে। অন্তত আবহাওয়া দপ্তরের ইঙ্গিত সেইরকমই। তাই অনুকুল আবহাওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দ্রুতগতিতে প্রতিমা নির্মাণের কাজ শেষ করতে চাইছেন শিল্পীরা। মাটির প্রদীপ ও কালীপ্রতিমা নির্মাণের কাজে তাই নাওয়া খাওয়া ভুলেছেন কুমোর ও মৃৎশিল্পীরা। 


    ইদানীং দীপাবলিতে ইলেকট্রিক আলোর চাহিদা বেশি। তবুও খেনও অনেকেই মাটির প্রদীপ দিয়ে ঘর সাজাতে পছন্দ করেন। তাই সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই বোলপুরের বিভিন্ন প্রান্তের কুমোররা তৈরি করছেন নানা মাপের প্রদীপ। বোলপুরের শান্তিনিকেতন রোড, মকরমপুর, রায়পুর-সুপুর প্রভৃতি জায়গায় গেলেই মিলবে দু’ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন দামের প্রদীপ। মাটির প্রদীপ তৈরিতে সময় অনেক বেশি লাগে।  ‌অথচ সামনেই ফের নিম্নচাপ ও ঝড়বৃষ্টির ভ্রূকুটি। ‌সেজন্য দিনরাত এক করে কাজ করছেন কুমোররা। বোলপুরের অমিত পণ্ডিত, দুলাল পণ্ডিতরা বলেন, একটা সময়ে চাইনিজ আলোর দাপটে আমাদের কারবার লাটে ওঠার জোগাড় হয়েছিল। তবে, মানুষ এখন অনেক পরিবেশ সচেতন। তাই বেশ কয়েক বছর ধরে মাটির প্রদীপের বিক্রি বেড়েছে। এছাড়া উৎসবের মরশুমে ধুনুচি, ঘট সহ মাটির তৈরি অন্যান্য পুজোর সামগ্রী তৈরির কাজও চলছে জোরকদমে। 


    অন্যদিকে, দীপাবলির পুণ্যতিথিতে মহাসমারোহে পুজো হয় শ্যামাকালীর। যতটুকু হাতে সময় রয়েছে তার মধ্যে প্রতিমা সম্পূর্ণ করতে ব্যস্ত শিল্পীরা। বোলপুরে বড় কালীপুজোর সংখ্যা কম হলেও পারিবারিকভাবে অনেকে কালীর আরাধনা করেন। এছাড়া ছোট পুজোর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। বোলপুর, ইলামবাজার, লাভপুর, নানুর প্রভৃতি এলাকায় চাঁদা তুলে ছোট ছোট মণ্ডপ তৈরি করে অনেকেই মেতে ওঠেন শ্যামাকালীর আরাধনায়। তার জন্য মৃৎশিল্পীদের কাছে আগে থেকে মূর্তির বরাত দিতে হয়। সেই বরাত পেয়েই ঘুম উড়েছে শিল্পীদের। বোলপুরের লায়েকবাজারের মৃৎশিল্পী সন্তু পাল, সৌমিত্র পাল বলেন, বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাস থেকেই আমাদের বিশ্রাম নেওয়ার সময় নেই। কালীপুজোর জন্য যে পরিমাণ বরাত পেয়েছি তা সম্পূর্ণ করতে রাত জেগে কাজ করতে হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)