• খোলা হয়নি বিজ্ঞাপনের তোরণ, ‌বোলপুর-শান্তিনিকেতনে যানজট 
    বর্তমান | ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বোলপুর: কৈলাসে ফিরেছেন দুর্গা। শেষ লক্ষ্মীপুজোও।‌ কিন্তু এখনও বোলপুর-শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন ব্যস্ততম রাস্তার একাংশ দখল করে রয়েছে বিজ্ঞাপনের তোরণগুলি।‌ ফলে শহরে যানজট সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষ যত দেখবে, ততই প্রচার হবে- এই আশায় রাস্তার উঁচু উঁচু তোরণগুলি বিভিন্ন কোম্পানি এখনও রেখে দিয়েছে।‌ এরজন্য ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। শহরবাসী যানজটে নাকাল হলেও নজর নেই বোলপুর পুরসভার। কবে রাস্তা থেকে সরানো হয় তোরণ, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। যদিও পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ বলেন, পুজো উদ্যোক্তা ও বিজ্ঞাপন সংস্থাদের দ্রুত তোরণ খুলে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরেও কেউ কথা না শুনলে জরিমানা করা হবে। দুর্গাপুজো হোক বা অন্য কোনও বড় উৎসব।‌ রাস্তায় ওভারহেড বিজ্ঞাপনী তোরণের মাধ্যমে প্রচার এখন সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‌যতদিন যাচ্ছে বেড়েই চলেছে তোরণের সংখ্যা। বোলপুর-শান্তিনিকেতনে সারা বছরই পর্যটকরা ভিড় করেন। সেজন্য বছরভর যানজট লেগেই থাকে। উপরন্তু পুজোর সময় বোলপুর-শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন রাস্তায় যেভাবে তোরণ বানানো হচ্ছে তাতে রাস্তায় চলাফেরা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বোলপুর স্টেশন রোড, শ্রীনিকেতন রোড, শান্তিনিকেতন রোডের দুই প্রান্ত, জামবুনি, কাছারিপট্টি, নিচুপট্টি, মকরমপুর, প্রান্তিক বাইপাস প্রভৃতি রাস্তায় এখনও রয়ে গিয়েছে হাজার খানেক বিজ্ঞাপনী তোরণ। আসলে পুজোর সময় দর্শনার্থীদের নজরকাড়তে বিভিন্ন পুজো মণ্ডপের আগে বিভিন্ন সংস্থা ও কোম্পানি মণ্ডপে মণ্ডপে বিজ্ঞাপন দেন। ‌এর জন্য মোটা টাকাও গুনতে হয়। কিন্তু তার জন্য পুরসভার তরফে নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করে দেওয়া হয়। ‌অথচ দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো পেরিয়ে গেলেও সেই নির্দেশ কেউ মানছেন না। গত বছর অতিবৃষ্টির ফলে শ্রীনিকেতন রোডে বাঁশের তৈরি একটি তোরণ ভেঙে পড়লে একটি চলন্ত গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ‌আহতও হন বেশকিছু পথচারী। ‌তাই,  যানজট ছাড়াও দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য উদ্বিগ্ন পথচারীরা। ‌তা সত্ত্বেও পুজো মণ্ডপ তথা বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলিকে এখনও তোরণ সরাতে দেখা যায়নি। এবিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণাদেবী‌ বলেন, বিষয়টি পুজো মণ্ডপগুলিকে জানানো হয়েছে। ‌আশা করি দিন কয়েকের মধ্যে শহরের রাস্তা তোরণমুক্ত হবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)