সিউড়ির তিনটি রাজ্য সড়ক খানাখন্দে ভরা, গর্তে জল জমে বিপজ্জনক অবস্থা
বর্তমান | ২১ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদদাতা, সিউড়ি: সিউড়িতে তিনটি রাজ্য সড়কের বেহাল অবস্থা। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। একটি সিউড়ি আবদারপুর থেকে জীবধরপুর মিনিষ্টিল পর্যন্ত, অপরটি বড়বাগানের কাছে জাতীয় সড়ক থেকে লম্বোদরপুর পর্যন্ত এবং অন্যটি হুসেনাবাদ থেকে পাঁচকাট পর্যন্ত। এই রাস্তাগুলির দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। খানাখন্দে ভরে উঠেছে রাস্তাগুলি। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার গর্তে জল জমে আরও বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হয়। তারপর এই রাস্তাগুলিতে পথবাতি না থাকার জন্য রাতের অন্ধকারে আরও সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে।
সিউড়ি আবদারপুর থেকে জীবধরপুর মিনিষ্টিল পর্যন্ত এই রাজ্য সড়কের বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। গোটা পাকা রাস্তাটির বেশিরভাগ অংশ ভেঙে গিয়ে গর্ত তৈরি হয়েছে। এই রাস্তাটি সিউড়ি সহ আশপাশের এলাকার মানুষ ব্যবহার করেন জাতীয় সড়কের বাইপাস রাস্তা হিসেবে। আবদারপুর রেল গেটে যানজট এড়াতে এই রাস্তা ব্যবহার করেন অনেকে। প্রতিদিন প্রচুর ছোট মাঝারি গাড়ি এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। তাছাড়া কচুজোড়, চিনপাই সহ একাধিক দিকে জাতীয় সড়ক এড়িয়ে যাওয়া যায় এই রাস্তটি দিয়ে। অথচ দীর্ঘদিন ধরে এই পাকা পিচের রাস্তাটি বেহাল অবস্থা তৈরি হলেও রাস্তাটি মেরামতের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দা এক গৃহশিক্ষক পরিতোষ দাস বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তাটি দিয়ে আমাদের সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটির এখন বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। খানাখন্দে ভরা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। দ্রুত এই রাস্তাটি সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। অন্যদিকে আরও একটি রাজ্য সড়ক সিউড়ি বড়বাগানের কাছে জাতীয় সড়ক থেকে লম্বোদরপুর পর্যন্ত। ধীরে ধীরে এই এলাকায় প্রচুর জনবসতি গড়ে উঠেছে। এই রাস্তাটিরও বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বড় বড় খানাখন্দে ভরে উঠেছে রাস্তাটি। পথবাতি না থাকায় রাতের অন্ধকারে দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ স্থানীয় পথচারীদের। এদিকে আরও এটি বেহাল রাস্তা রয়েছে সিউড়ি হুসেনাবাদ থেকে পাচঁকাঠ পর্যন্ত। এই রাস্তার হুসেনাবাদ পাড়া এলাকার অংশটির সব থেকে বেহাল অবস্থা বলে অভিযোগ। পুজোর সময় চরম সমস্যায় পড়তে হয়েছে বাসিন্দাদের। এছাড়াও বাকি পাঁচকাঠ পর্যন্ত রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গা ভেঙে গিয়েছে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, কিছুদিন আগে পর্যন্ত রাস্তাটি ভালো ছিল। কিন্তু ইদানীং কিছু বালি বোঝাই ট্রাক্টর, ভারী গাড়ি রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করায় এই রাস্তাটি ভেঙে গিয়েছে। তাই দ্রুত এই রাস্তাটিও সংস্কারের দাবি তুলেছেন এই রাস্তার দু’ধারে থাকা বাসিন্দারা।