নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: মেদিনীপুরে উপনির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা হয়েছে। প্রথমদিন থেকে জোরকদমে প্রচারের না নেমে বিজেপি প্রার্থী সহ নেতা-কর্মীরা কোন্দল ঠেকাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। কারণ সকাল হতেই প্রার্থী শুভজিৎ রায় সহ নেতৃত্ব সটান খড়্গপুরে দিলীপ ঘোষের বাসভবনে পৌঁছে যান। বিরোধী দলনেতা ঘনিষ্ঠ বিজেপি প্রার্থী দিলীপবাবুকে প্রণাম করে আশীর্বাদও নেন। একইসঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। এরপর প্রার্থী মেদিনীপুর শহর এলাকায় মন্দিরে পুজো দেন। তারমাঝে তিনি প্রচারও সারেন। জানা গিয়েছে, গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে দিলীপবাবুকে কোণঠাসা করার ফল বিজেপি হাতেনাতে পেয়েছে। লোকসভা ভোটে হেরেছে দল। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামাল দিতেই প্রার্থী সহ নেতৃত্ব এদিন দিলীপবাবুর বাসভবনে যান বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন প্রার্থী বলেন, দিলীপবাবু আমাদের অভিভাবক। তাঁর আশীর্বাদ নিয়েই প্রচার শুরু করলাম। লড়াই শুরু হয়ে গেল। মানুষের ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। দিলীপবাবু বলেন, লোকসভা ভোটে শহরের মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছে। প্রসঙ্গত, একসময় মেদিনীপুর জেলাজুড়ে বিজেপির প্রভাব বাড়ছিল। সেইসময় বিজেপির প্রথম সারির নেতারা কার্যত ডেলি প্যাসেঞ্জারি করতেন। ফলস্বরূপ ২০১৯ সালে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হয় বিজেপি। দ্রুত হারে বিজেপির সংগঠন বাড়তে শুরু করে। বিভিন্ন এলাকায় সংগঠন বৃদ্ধির জন্য তৈরি হয় নতুন পার্টি অফিস। কিন্তু তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে গোষ্ঠীকোন্দল। জানা গিয়েছে, উনিশের লোকসভা ভোটে জয়ের পিছনে অন্যতম কাণ্ডারী ছিলেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু সেই দিলীপবাবুকেই কোণঠাসা করে দেয় নেতৃত্ব। এমনকী গত লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে মেদিনীপুরে টিকিটই দেয়নি দল। এক বিজেপি নেতা বলেন, দল ক্ষমতায় আসার আগেই গোষ্ঠীকোন্দলে ভরে গিয়েছে। তাই ধারাবাহিকভাবে দলের ফলাফল খারাপ হচ্ছে। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না হলে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ফের খারাপ ফলাফল হবে। এছাড়া নেতৃত্বে পরিবর্তন প্রয়োজন।