ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি, বিডিওদের সতর্ক থাকার নির্দেশ নবান্নের
বর্তমান | ২১ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: নিম্নচাপের জেরে দুর্যোগের আশঙ্কায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সকল বিডিওকে সতর্ক করা হল। সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্যজীবীদের আজ, সোমবারের মধ্যে ফিরে আসার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি সোমবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ জারি করেছে প্রশাসন। আপাতত ২৩ ও ২৪অক্টোবর ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। সেজন্য নদী ও সমুদ্রবাঁধের উপর নজরদারি চালানোর জন্য সেচদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ব্লকে ত্রাণসামগ্রী মজুত থাকছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে মানুষজনকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে উপকূলবর্তী এলাকার মাল্টি পারপাস সাইক্লোন শেল্টার এবং ফ্লাড শেল্টার রেডি করা হবে। জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপন অফিসে ২৪ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম চালু হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। এর ফলে বাংলা-ওড়িশা সীমান্তে এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২৩থেকে ২৫অক্টোবর এনিয়ে সতর্কতা জারি থাকছে। এর ফলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সাইক্লোনের রূপ নেবে কিনা সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। সময় যত গড়াবে নিম্নচাপটি শক্তি বৃদ্ধি করে কোন দিকে এগবে সেটা পরিষ্কার হবে। আপাতত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। কারণ, এর আগে উমপুন থেকে যশ একের পর এক সাইক্লোনে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই এড়ানো যায়।
বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী নিম্নচাপ তৈরি হলে উপকূলবর্তী এই জেলায় তার প্রভাব পড়ে। তাই আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হয়। এবারও চার মহকুমা শাসক এবং ২৫টি ব্লকের বিডিওকে সতর্ক করা হয়েছে। সব জায়গায় পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুত থাকছে। সোমবার থেকেই দীঘা উপকূলে সতর্কতামূলক মাইকিং করা হবে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি থাকছে। এছাড়াও পর্যটকদের সমুদ্রস্নানের উপর বিধিনিষেধ আরোপ হবে। পুজোর ছুটির মধ্যেই এমনিতেই দীঘায় প্রচুর ভিড়। দুর্যোগের মধ্যে যাতে কোনও অঘটন না ঘটে সেজন্য সতর্ক প্রশাসন।
সাইক্লোনের পরিস্থিতি তৈরি হলে মানুষজনকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হবে। সেক্ষেত্রে এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ টিমের জন্য রিক্যুইজিশন করা হবে। আপাতত সেরকম পূর্বাভাস নেই। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী বলেন, আমরা সব জায়গায় ত্রাণসামগ্রী মজুত করেছি। মহকুমা, ব্লক এবং গ্রাম পঞ্চায়েতকে এনিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। নদীবাঁধ ও সমুদ্রবাঁধের উপর নজর রাখার জন্য সেচদপ্তরকে বলা হয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে জমা জল দ্রুত বের করার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। মানুষজনকে সরানোর মতো পরিস্থিতি হলে সেরকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সহ মৎস্য অধিকর্তা(মেরিন) সুমন সাহা বলেন, সমুদ্রে যাওয়া সকল মৎস্যজীবীকে সোমবারের মধ্যে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। সোমবার থেকে কোনও মৎস্যজীবী সমুদ্রে যেতে পারবেন না। আমরা প্রতিটি মৎস্যজীবী সংগঠনের কাছে এই বার্তা পাঠিয়েছি।