• ময়নাগুড়ি বিহারি জনকল্যাণ মঞ্চ ছটপুজো কমিটির প্রস্তুতি শুরু
    বর্তমান | ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • সোমনাথ চক্রবর্তী, ময়নাগুড়ি: ছটপুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে ময়নাগুড়ি বিহারি জনকল্যাণ মঞ্চ ছটপুজো কমিটির। প্রতিবছরের মতো এবছরও তারা জর্দা নদীতে ছটপুজোর আয়োজন করতে চলেছে। সুষ্ঠুভাবে ছটপুজো সম্পন্ন করতে শনিবার কমিটির সদস্যরা বৈঠকে বসেন। এবার পাঁচ কুইন্টাল ঠেকুয়া প্রসাদ ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করবেন বলে স্থির করেছেন। 


    ময়নাগুড়ি বিহারি জনকল্যাণ মঞ্চ ছটপুজো কমিটি ২০১৮ সালে তৈরি হয়। এবছর পুজো কমিটির সম্পাদক বিজয়শঙ্কর শা, সহ সম্পাদক আশুকুমার পাণ্ডে। ঠেকুয়া বানানোর জন্য ছটপুজো কমিটির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বিহার এবং কোচবিহার জেলার কারিগরদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পুজোর এক সপ্তাহ আগে ওই দক্ষ কারিগররা ময়নাগুড়িতে আসবেন। বিপুল পরিমাণ ঠেকুয়া বানানো প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই শুরু হয়ে যাবে। পুজোর পর জর্দা নদীর ঘাটে ভক্তদের সেই ঠেকুয়া বিতরণ করা হবে। 


    ময়নাগুড়ি বিহারি জনকল্যাণ মঞ্চ ছটপুজো কমিটি বছরভরই ময়নাগুড়িতে বিভিন্ন সেবামূলক কাজকর্ম করে থাকে। স্বাস্থ্যশিবির, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি প্রায় করা হয়। বিহারি জনকল্যাণ মঞ্চ ছটপুজো কমিটি ৬ নভেম্বর  জর্দা নদীর ঘাটে খুঁটিপুজো করবে। ৭ এবং ৮ তারিখ পুজো। ৭ তারিখ বিকেলে পুজো কমিটির পক্ষ থেকে গঙ্গা আরতি করা হবে। রয়েছে অতিথিবরণ অনুষ্ঠান। পাশাপাশি ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা হবে রাতভর। ৮ তারিখ ভোরে পুজো ও যজ্ঞ করা হবে। এরপর হবে প্রসাদ বিতরণ। 


    পুজো কমিটির সভাপতি দিলীপকুমার সিং ও সহ সভাপতি পীযূষ ঝা বলেন, সুষ্ঠুভাবে ছটপুজো সম্পন্ন করতে মিটিং করা হয়েছে। প্রশাসনের কাছে দাবি, অতি দ্রুত যাতে জর্দার ঘাট সংস্কার করে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। আমাদের ৫০ জন ভলান্টিয়ার থাকবেন। প্রশাসনের কাছেও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করার আর্জি নিয়ে যাওয়া হবে। গোটা জলপাইগুড়ি জেলাবাসীকে ছটপুজোর দু’দিন জর্দা নদীর ঘাটে আসার জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে। এবছর প্রতিমা তৈরি করছেন ময়নাগুড়ির মৃৎশিল্পী কার্তিক পাল। মণ্ডপ বানাবেন রামকুমার শাহ।
  • Link to this news (বর্তমান)