কালুয়া নদীতে সেতু হয়নি, প্রাক্তন বিধায়ক মনোজের ভূমিকায় ক্ষোভ স্থানীয়দের
বর্তমান | ২১ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি: ভোট যায় ভোট আসে, কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতায় কালুয়া নদীর চিলারঘাটে সেতু নির্মাণ হয়নি। নদী পারাপারে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়লেও তাতে যেন গুরুত্বই দিতে নারাজ নেতা ও প্রশাসন। ক্ষোভ রয়েছে প্রাক্তন বিধায়ক ও বর্তমান সাংসদ মনোজ টিগ্গার উপরেও। মাদারিহাট বিধানসভার উপ নির্বাচনের আগে এই বঞ্চনাগুলিই সাধারণ মানুষের মনে নতুন করে ক্ষোভ তৈরি করছে। ভোট চাইতে এলে প্রার্থীর কাছে বিধায়ক তহবিল থেকে সেতু গড়ার দাবি জানাবেন এলাকাবাসী।
বানারহাট ব্লকের কালুয়া নদীর এই এলাকা মাদারিহাটের বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত। দীর্ঘদিন থেকে সেখানে সেতুর দাবি রয়েছে। এলাকাটি প্রশাসনিক দিক থেকে ধূপগুড়ি মহকুমার অন্তর্গত। কালুয়া নদীর একদিকে সজনাপাড়া, প্রধানপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকা রয়েছে। অপরপ্রান্তে রয়েছে উত্তর ডাঙ্গাপাড়া গয়েরকাটার তেলিপাড়ারমতো এলাকা। সেতু না থাকায় ১০-১৫ কিমি ঘুরপথে যাতায়াত করতে হয় গ্রামের বাসিন্দাদের। নদীর জল কমলে অস্থায়ী সাঁকো দিয়ে যাতায়াত চলে। তবে বর্ষায় মূল সমস্যা তৈরি হয়। নৌকোয় ঝুঁকি নিয়ে চলে যাতায়াত। সেতু নির্মাণ না হওয়ায় আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ টিগ্গাকে দোষারোপ করছেন। এলাকাবাসী রবিউল আলম, ঋত্বিক রায় বলেন, মনোজ টিগ্গা বিধায়ক থাকাকালীন সেতুর দাবি উঠলেও তিনি গুরুত্ব দেননি। তবে সেতু তৈরি করতে গেলে প্রশাসনিক জটিলতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সাকোয়াঝড়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপাল চক্রবর্তী। অভিযোগের জবাবে সাংসদ মনোজ টিগ্গা বলেন, বিধায়ক থাকাকালীন আমি বারবার দাবি তুলেছিলাম। কিন্তু আমি বিরোধী দলের বলে রাজ্য সরকার আমার দাবিকে গুরুত্ব দেয়নি। যদিও তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, মনোজ টিগ্গা বিধায়ক থাকাকালীন তার বিধানসভাক্ষেত্রে কোন নজর দেননি।
এলাকাবাসী উত্তম রায়, সুমন্ত সরকার বলেন, নদীর ওপার থেকে পড়ুয়ারা মল্লিকপাড়া স্কুলে পড়তে আসে। বর্ষার সময় তাদের খুবই অসুবিধা হয়। ভোট চাইতে এলে আমরা প্রার্থীর কাছে সেতুর দাবি জানাব।