পোষ্যের রোগনির্ণয়ে কল্যাণীতে রাজ্যের অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি
বর্তমান | ২১ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দেশজুড়ে বাড়িতে পোষ্য রাখার ঝোঁক বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গও তার ব্যতিক্রম নয়। একেবারে দেশীয় মেনি, হুলো বা রাস্তা থেকে তুলে আনা কুকুরছানাকে বাড়িতে এনে পরিবারের সদস্য করার পাশাপাশি জার্মান শেফার্ড বা পার্সিয়ান বেড়ালের মতো বিদেশি প্রাণী পোষার প্রবণতাও কয়েক গুণ বেড়েছে। ওই পোষ্যদের রোগবালাইয়ের অন্ত নেই। তার যথাযথ চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন রোগনির্ণয়। পশু চিকিৎসকরা যেসব ‘টেস্ট’ লিখে দেন, তা করানোর মতো নির্ভরযোগ্য জায়গা অনেক কম, এমনই মত পশুপ্রেমীদের। এক্ষেত্রে তাঁদের নির্ভর করতে হয় বেসরকারি সংস্থার উপর। এতে খরচ অনেকটাই বেশি। প্যাথোলজি ও অন্যান্য রোগ নির্ণায়ক সরঞ্জামের গ্রহণযোগ্যতাও অনেক ক্ষেত্রেই প্রশ্নের মুখে পড়ে। এই সঙ্কট কাটাতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের আওতায় কয়েক কোটি টাকা খরচ করে কল্যাণীতে তৈরি হয়েছে এমন এক ল্যাবরেটরি, যেখানে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে পশুদের রোগ নির্ণয়ের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। দপ্তরের কর্তাদের দাবি, সরকারি তত্ত্বাবধানে এত বড় পরিকাঠামো দেশের অন্য কোথাও নেই।
প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের আওতায় কল্যাণীতে আছে ‘সেন্টার ফর ল্যাবরেটরি অ্যানিমাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং’। এখান থেকে মূলত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য গিনিপিগ বা ইঁদুরের মতো ছোট প্রাণী বিক্রি হয়। ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন ওই সেন্টারেই গড়ে উঠেছে অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি। সংস্থাটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর উৎপলকুমার কর্মকার বলেন, পশুদের চিকিৎসার জন্য যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন, তার সবকিছুই অত্যন্ত আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে এখানে হবে। যেহেতু সরকারি সংস্থা, তাই খরচ পড়বে বেসরকারি জায়গাগুলির তুলনায় অনেকটাই কম। লিভার ফাংশন টেস্ট, কিডনি ফাংশন টেস্ট, কমপ্লিট ব্লাড কাউন্টের মতো নানারকমের পরীক্ষা বাজার চলতি খরচের প্রায় অর্ধেক দামেই পাবেন সাধারণ মানুষ। উৎপলবাবু জানান, বাড়ি থেকে ব্লাড সংগ্রহের সুবিধাও দিচ্ছেন তাঁরা। অনলাইনে এই সংক্রান্ত বুকিং করা যাবে। কলকাতা ও শহরতলির মানুষও এর সুবিধা পাবেন।