সংবাদদাতা, ইটাহার: বিয়ের দেড় মাসের মধ্যে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হলেন স্বামী। ঘটনাটি ইটাহারের কামালপুর এলাকার। মৃতের পরিবার ইটাহার থানায় বধূর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করলে পুলিস তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেড় মাস আগে কামালপুরের বাসিন্দা সাকের আলির সঙ্গে গোড়াহারের আজগড়ি খাতুনের বিয়ে হয়। প্রথম থেকেই দু’জনের মধ্যে অশান্তি চলছিল। স্বামীকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতেন বধূ। গত ৯ অক্টোবর আজগড়িকে নিয়ে তার সোনার কানের দুল ঠিক করতে রায়গঞ্জ গিয়েছিলেন সাকের। কিন্তু সেখানে স্ত্রী নিখোঁজ হয়ে যান। প্রায় ৩ ঘণ্টা পর রায়গঞ্জ বেসরকারি বাস টার্মিনাস এলাকায় স্ত্রীর খোঁজ পান স্বামী। সাকেরের সন্দেহ হয় স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত। এরপর বিবাদ বাধে দু’জনের। অভিযোগ, পরকীয়ায় বাধা দিলে স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকি দেন আজগড়ি।
গত ১৬ অক্টোবর ফের বাপের বাড়ি যাওয়াকে কেন্দ্র করে স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর বিবাদ বাধে। সেই সময় সাকেরের হাতে বিষ তুলে দিয়ে আজগড়ি তাঁকে মরে যাওয়ার কথা বলেন। বিষ খেলে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সাকেরকে ইটাহার গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিক্যালে পাঠান চিকিৎসক। এরই মাঝে ১৭ অক্টোবর আজগড়ি তার পরিবারের লোকের সাহায্যে রাতে স্বামীর বাড়ির জানালা দিয়ে ঢুকে নগদ ও সোনার গয়না নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। ১৮ অক্টোবর ভোরে রায়গঞ্জ মেডিক্যালে মৃত্যু হয় সাকেরের। সাকেরের দাদা বেলাল হুসেন ইটাহার থানায় অভিযোগ জানান আজগড়ির বিরুদ্ধে। বেলাল বলেন, আমার ভাইকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করে মেরে ফেলল।