আজ নবান্নে ফের বৈঠক, সমাধানের আশায় সরকার থেকে জুনিয়র ডাক্তার
বর্তমান | ২১ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আশায় বুক বেঁধেছে রাজ্য সরকার। আজ, বিকেল ৫টায় সোমবারের বৈঠক থেকে নিশ্চয় বেরবে সমাধান সূত্র, এমনটাই মনে করছে প্রশাসনিক মহল। চিকিত্সকদের আন্দোলন পর্বে বরাবরই নমনীয় থেকেছে রাজ্য সরকার। ১৯৮৩ সালের জ্যোতি বসুর সরকার লাঠি মেরে জুনিয়র চিকিত্সকদের আন্দোলন তুলে দিয়েছিল। সেই নির্মম ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেনি তৃণমূল সরকার। গোটা পর্বে মোট ১০ বার আন্দোলনকারীদের চিঠি পাঠিয়েছে সরকার। উদ্দেশ্য একটাই, স্বাভাবিক হোক স্বাস্থ্য পরিষেবা।
কখনও মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার থেকে নেমে কালীঘাটে নিজ বাসভবনে চিকিত্সকদের ডেকে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে জটিলতা হলেও স্নেহময়ী মুখ্যমন্ত্রী চিকিত্সকদের চা খেতেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। চেষ্টার খামতি রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সরকার। কিন্তু কোনও এক লাল ফিতের বাঁধনে পরে চিকিত্সকরা কখনও কর্মবিরতি, কখনও আমরণ আনশন আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছেন। এসবের মাঝেও মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছা একবারের জন্যও কমেনি। তিনি শনিবার সেই অনশন মঞ্চে মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে পাঠিয়েছিলেন। একেবারে এক রাস্তা লোকের সামনে ফোনে চিকিত্সকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। শুধু বলেছেন, বৈঠকে বসবেন। কিন্তু অনশন তুলে আসতে হবে। চিকিত্সকরাও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেবেন বলেছেন, কিন্তু অনশন না তুলে। আসলে সূত্রের খবর, অনশনকারী চিকিত্সকদের শারীরিক পরিস্থিতির কথা বিচার করেই কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের অনশন তুলে বৈঠকে আসতে বলেছিলেন।
এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে এদিন আন্দোলনকারী চিকিত্সকরা বৈঠকে বসেছিলেন। সেই বৈঠকে সুস্থ হয়ে যোগ দিয়েছিলেন চিকিত্সক অনিকেত মাহাতো। বৈঠক শেষে তাঁরা মুখ্যসচিবকে ই-মেল করে আরও একবার তাঁদের দাবির কথা জানিয়ে দেন। সেই ই-মেলে জুনিয়র চিকিত্সকরা মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠকের ডাককে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁরাও মনে করছেন একমাত্র ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হতে পারে। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় পরিবর্তন এনে সরকারের সঙ্গে একত্রে অজস্র মানুষকে পরিষেবা দিতেও তাঁরা প্রস্তুত। যদিও এনআরএসে বৈঠকের শেষে আন্দোলনরত চিকিত্সকরা জানান, অনশনকারীদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। অনশন চলাকালীনই যথাসময়ে নবান্নে পৌঁছবেন তাঁরা। অন্যদিকে, জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস সংগঠনের তরফে এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে ই-মেল করে জানানো হয়, কেন তাঁরা স্বাস্থ্যসচিবের পদত্যাগ চাইছেন। এদিন বিকেলে অনশনকারী চিকিত্সকদের ডাকে অনশন মঞ্চের পাশেই সমাবেশ হয়।