সন্দীপ ও অভিজিতের মুছে ফেলা কল রেকর্ডিং সিবিআইয়ের হাতে
বর্তমান | ২১ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর জি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার তদানীন্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের কথোপকথনের তথ্য হাপিস করে দেওয়া কল রেকর্ডিং উদ্ধার হতেই তদন্তে নতুন সূত্র পাচ্ছে সিবিআই। কীভাবে তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়েছিল এবং আর কারা কারা জড়িত রয়েছে, তার থেকে নতুন তথ্য মিলেছে বলে খবর। তার ভিত্তিতে আরও বেশ কয়েকজনকে ডাকার তোড়জোড় চলছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। একইসঙ্গে আরও তিনটি হার্ড ডিস্কে কী তথ্য লুকিয়ে রয়েছে, তা জানতে সেগুলি আদালতের অনুমতি নিয়ে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
অভিজিৎ ও সন্দীপ যে কল রেকর্ডিং উড়িয়ে দিয়েছিলেন, তার তথ্য সিবিআই আগেই পেয়েছিল। কিন্তু ফোনের ফরেন্সিক পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারছিলেন না। ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসার পর তদন্তকারীরা জানতে পারছেন, দু’জনেই কথোপকথনের বহু বিষয় উড়িয়ে দিয়েছেন। সেগুলি ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা রিট্রিভ করে ফেলেছেন বলে এজেন্সি সূত্রে খবর। তদন্তকারীরা জেনেছেন ৯ আগস্ট সকালে একাধিকবার সন্দীপ ঘোষ টালা থানার প্রাক্তন ওসিকে ফোন করেছিলেন। পাল্টা ফোন করেছিলেন অভিজিৎও। তদানীন্তন ওসির বক্তব্য ছিল, হাসপাতালের অধ্যক্ষ হিসেবে সন্দীপ তাঁকেই ফোন করবেন, এটাই স্বাভাবিক। কারণ তিনি স্থানীয় থানার ওসি। সন্দীপ জানিয়েছিলেন, ঘটনার কথা জেনে কীভাবে অভিযোগ করতে হবে এবং পুলিস কোন পথে এগচ্ছে তাই নিয়ে কথাবার্তা চলেছিল। আপাতভাবে এটি সাধারণ মনে হলেও কল রেকর্ডিং উড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টি সামনে আসার পরই তদন্তকারীরা বুঝতে পারছেন তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য বড়সড় পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। সেটি যাতে প্রকাশ্যে না আসে, সেজন্য ওই রেকর্ডিং উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। কী সেই কথাবার্তা, তা তদন্তকারীরা জেনে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। সিবিআইয়ের দাবি, তাতে গোটা বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। এককথায় সন্দীপের নির্দেশমতোই যে প্রাক্তন ওসি চলেছিলেন, তা উঠে আসছে তাদের তদন্তে। তথ্য লোপাট সংক্রান্ত অভিযোগ প্রমাণ করার ক্ষেত্রে এই নথি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।