• সৌন্দর্যায়নের জন্য খরচ হবে ১০ কোটি টাকা, তৈরি হবে বসার জায়গা, ফোয়ারা
    বর্তমান | ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ১০ কোটি টাকায় এবার সাজবে ডায়মন্ডহারবার নদীর ধার। পুরসভা ও পর্যটন দপ্তরের উদ্যোগে হবে এই কাজ। আগেরবার এই নদীর পাড় সাজাতে গিয়ে ধস নেমেছিল রাস্তায়। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তাই আগাম সমীক্ষা সেরে ফেলেছে দপ্তর। যে জায়গায় ধস নেমেছিল সেই অংশ বাদ রেখে তার আশপাশে সৌন্দর্যায়নের কাজ হবে।

    ডায়মন্ডহারবার পুরসভার চেয়ারম্যান প্রণব দাস বলেন, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংসদ তহবিলের টাকায় এই কাজ হবে। ডায়মন্ডহারবারকে পর্যটকদের কাছে আরও আকৃষ্ট করে তুলতে নদীর ধার বরাবর ফেরিঘাট থেকে কেল্লার মাঠ পর্যন্ত নানারকমের সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন বসার জায়গা থেকে নানা রকমের মূর্তি, ফোয়ারা ইত্যাদি বসানো হবে। নদীতে বোটিং করা যায় কি না, সে নিয়েও চলছে আলোচনা।  পর্যটকরা যাতে বিনোদনের স্বাদ পান, সেজন্যও নানারকমের ভাবনাচিন্তা চলছে। ‘উইকেন্ড ডেস্টিনেশন’ হিসেবে ডায়মন্ডহারবার অত্যন্ত জনপ্রিয় স্থান। কিন্তু নদীর ধারে বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে পর্যটকরা একপ্রকার হতাশ এবং বিরক্ত। কারণ সেখানে বসার জায়গা বেহাল হয়ে রয়েছে। নেই আর কোনও দ্রষ্টব্য জায়গা। কয়েক বছর আগে সাংসদ এই নদীর পাড় সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কাজ করতে গিয়ে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশে ধস নামে। কাজ তখন বন্ধ হয়ে গেলেও পরবর্তী সময়ে কীভাবে বিপত্তি এড়িয়ে সৌন্দর্যায়নের কাজ করা যায়, তা নিয়ে শুরু হয় নানারকমের সমীক্ষা। অবশেষে পর্যটন দপ্তর সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ঠিক করেছে, যেখানে বিপত্তি ঘটেছিল, সেই জায়গা বাদ রেখে বাকি অংশে সাজানোর কাজ করা হবে।

    চেয়ারম্যানের কথায়, পর্যটকরা যাতে ডায়মন্ডহারবারে নদীর ধার উপভোগ করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হবে। আপাতত কোথায় কী কাজ হবে, তার ডিপিআর তৈরি করার কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে। সেটা শেষ হলেই সৌন্দর্যায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। এদিকে, এতদিন ধরে ডায়মন্ডহারবারে রাস্তার উপর হাঁটাচলার জন্য সেভাবে ফুটপাত ছিল না। সেই কাজও এবার শুরু হয়েছে সেখানে। কপাটহাট থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত পুরসভা রাস্তার দু’ধারে ফুটপাত নির্মাণ করছে।
  • Link to this news (বর্তমান)