বদলে যাচ্ছে বিজয়ার পছন্দ, নিমকি-মিষ্টি ছেড়ে চাউমিন ও বিরিয়ানিতে মজে বাঙালি
বর্তমান | ২১ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদদাতা, বনগাঁ: বিজয়ার শুভেচ্ছা মানে মিষ্টিমুখ। এক প্লেট সীতাভোগ, মিহিদানা, সন্দেশ, রসগোল্লা, নাড়ু, নিমকি। সে সব প্রায় নিরুদ্দেশের পথে। তার জায়গা দখল করেছে চাউমিন, মোমো, বিরিয়ানি।
দুর্গার বিসর্জন শেষ হতে না হতেই বড়দের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম। তারপর মিষ্টিমুখ। সে সবও প্রায় উধাও। বিজয়ার শুভেচ্ছা এখন মোবাইলে। এক ক্লিকে প্রণাম বা শুভেচ্ছা পৌঁছে যাচ্ছে। বন্ধুবান্ধবীরা শুভেচ্ছা বিনিময় করে রেস্তরাঁয় গিয়ে আড্ডা দিতে দিতে অর্ডার করছে চাইনিজ বা বিরিয়ানি। বাঙালি আধুনিক হচ্ছে। আর ফিকে হচ্ছে বিজয়ার রীতি রেওয়াজ। মিষ্টি আজকাল কম খায় বাঙালি। ফলে সে ব্যবসাতেও মন্দা।
বাড়ি আসবে বন্ধুরা। মা মিষ্টির দোকানে গিয়েছেন। সঙ্গে অষ্টাদশী মেয়ে। মা সীতাভোগ ও মিহিদানা দিতে বললেন। নাক সিঁটকে অনিচ্ছা জানাল মেয়ে। বের করল মোবাইল। রেস্তরাঁর খাবার অর্ডার করল। তবে বিজয়ার খাওয়ায় একটি অন্তত মিষ্টি না হলেই নয়। অগত্যা কেনা হল। সামান্য সেটুকু নিয়ে বাড়ি চললেন মা। অনলাইনে অর্ডার করলে বাড়ি পৌঁছে যায় বিরিয়ানি, এগরোল, চাঁপ, চাউমিন। মিষ্টির দিকে ঝোঁক নেই বাঙালির। এভাবে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় যেমন বদলাচ্ছে তেমনই বদলাচ্ছে বিজয়ার প্লেট। থালায় থাকছে না মা-ঠাকুমার হাতে তৈরি নারকেলের নাড়ু। বাড়িতে নিমকি তৈরির প্রয়োজন পড়েছে না আজকাল।
পুজোর ক’টা দিন মিষ্টি ব্যবসায়ীদের বাজার কিছুটা ভালো হলেও পুজো পরবর্তী ব্যবসা মোটেও ভালো নয়। বনগাঁ শহরের নামকরা এক মিষ্টি ব্যবসায়ীর বক্তব্য, ‘আগে বিজয়ার সময় দোকানে ভিড় লেগে থাকত। মিহিদানা, সীতাভোগ, বোঁদের চাহিদা থাকত। এখন চাহিদা কমেছে। অধিকাংশ ক্রেতা কম মিষ্টির কিংবা সুগার ফ্রি মিষ্টি খোঁজেন।’ মিষ্টি ব্যবসায়ী রাকেশ ঘোষ বলেন, ‘গত বছর যে পরিমাণ মিহিদানা, সীতাভোগ বিক্রি করেছিলাম এ বছর তাও হয়নি। এখন বেশিরভাগ মানুষ বিজয়ার সময় ফাস্ট ফুডের দিকেই ঝুঁকেছেন। নিজস্ব চিত্র