• গত বছরের তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত কম, সচেতন না হলে জরিমানার ভাবনা হাওড়া পুরসভার
    বর্তমান | ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: গত বছরের তুলনায় এবার হাওড়ায় ডেঙ্গুতে আক্রান্তের হার অনেকটাই কম। সারা বছর ভেক্টর কন্ট্রোল টিমের সদস্যরা যেভাবে শহরের পাশাপাশি ব্লকগুলিতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছেন, তাতেই এমন সন্তোষজনক রিপোর্ট সামনে এসেছে বলে দাবি করেছে জেলার স্বাস্থ্যদপ্তর। পুরসভা ও স্বাস্থ্যদপ্তরের লাগাতার প্রচার সত্ত্বেও বাসিন্দাদের একাংশের উদাসীনতার কারণে হাওড়া শহরের পকেট এলাকায় বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রবণতা। সেকারণে আগামী দিনে কোনও বাড়িতে ডেঙ্গু মশার লার্ভা পাওয়া গেলে সরাসরি জরিমানা আদায়ের পথে হাঁটার চিন্তাভাবনা করছে হাওড়া পুরসভা। 

    জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর জেলায় জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ হাজার ৬৮৬ জন। ব্লকগুলির তুলনায় পুরসভা এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেশি ছিল। চলতি বছরের শুরু থেকেই ডেঙ্গুপ্রবণ ওয়ার্ডগুলিতে নিয়মিত সাফাইয়ের উপর জোর দিয়েছিল হাওড়া পুরসভা। পাশাপাশি পঞ্চায়েতের ভিলেজ রিসোর্স পার্সনরাও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গু সচেতনতার কাজ করেছেন। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৩০০টি বাড়ি পিছু দু’টি করে ভেক্টর কন্ট্রোল টিম নজরদারি চালিয়েছে। শহর এলাকায় ৬০টি বাড়ি পিছু একটি টিমকে কাজে লাগানো হয়েছিল। তার ফল মিলেছে হাতেনাতে। এবার অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ৪৭৭টি।

    হাওড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ কিশলয় দত্ত বলেন, ‘বারবার মানুষকে সচেতন করার পরেও অনেক বাড়ি বা কারখানা কর্তৃপক্ষ জমা জল পরিষ্কার করছে না। সেক্ষেত্রে পুরসভা আইন অনুযায়ী মোটা অঙ্কের জরিমানা ধার্য করতে পারে।’ বিশেষ করে হাওড়া পুরসভা এলাকার ১, ৬, ৮, ১২, ১৩, ১৫, ২৫ এবং ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বাড়তি পদক্ষেপ নিতে চায় জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘কোনও এলাকায় ডেঙ্গুর লার্ভা পাওয়া গেলে সেখানে নোটিস টাঙিয়ে এলাকায় সচেতন করা হচ্ছে। তারপরেও যদি বাসিন্দারা সচেতন না হন, সেক্ষেত্রে জরিমানা করার কথা ভাবনাচিন্তা করা যেতে পারে।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)