• ওয়াংচুকের ডাকে শহরে মঞ্চ বেঁধে প্রতীকী অনশন
    বর্তমান | ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ধর্মতলায় ১০ দফা দাবি নিয়ে চলছে জুনিয়র চিকিত্সকদের আমরণ অনশন। সেখান থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে কলেজ স্ট্রিটে এবার পরিবেশ কর্মীরা বসলেন প্রতীকী অনশনে। এই অনশন শুরু হয়েছে রবিবার সকাল ৯টা থেকে। শেষ হয়েছে রাত ৯টায়। জনা ২০ পরিবেশ কর্মী একেবারে লাল কাপড় মোড়া মঞ্চে বসে পড়েছিলেন। শুধু জল খেয়েই চলেছে তাঁদের অনশন। দাবি কী? মূলত, লাদাখের পরিবেশ কর্মী সোনম ওয়াংচুকের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে তাঁর ডাকেই চলেছে এই অনশন কর্মসূচি। 

    রবিবার লাদাখের প্রায় ২ লক্ষ মানুষও এই অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন বলে দাবি পরিবেশ কর্মীদের। শুধু কলকাতাই নয়—নদীয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া, সিউড়ি, পুরুলিয়া ও দুই ২৪ পরগনাতেও নদী আন্দোলন, পরিবেশ কর্মীরা ওয়াংচুকের ডাকে অনশনে যোগ দিয়েছেন। কলকাতায় পরিবেশ কর্মীসহ বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাও এই অনশনে অংশ নিয়েছিলেন। অনশনের পাশাপাশি মঞ্চ থেকেই সাংস্কৃতিক কর্মসূচিও নেওয়া হয়। 

    এই অনশনে অংশগ্রহণকারী নদী আন্দোলনের কর্মী তাপস দাস বলছিলেন, ‘২০১৯ সালে বিজেপি লাদাখ নিয়ে তাদের ইস্তাহারে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ভোটের পর তা রাখেনি। আমরা এই মঞ্চ থেকে শুধু লাদাখের কথাই বলছি না—আমরা হাঁসদেও, হিমাচলের দেবাং ভ্যালি, হিমালয় নীতি ও আন্দামানের কথাও বলছি। আমাদের বুঝতে হবে, পরিবেশের সঙ্কট মানে তা সংবিধানেরও সঙ্কট। এমনকী, ভোগবাদের বিরুদ্ধেও এই অনশন। অনশনকারীরা বলেন, আমরা এখানে বিদ্যুতের ব্যবহার করছি না। সামগ্রিকভাবে পরিবেশের প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের আগ্রাসন, মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে এই অনশন।’

    শুধু কলকাতা নয়, বিভিন্ন জেলা থেকেও পরিবেশকর্মীরা এসে এই অনশনে যোগ দিয়েছিলেন। হাওড়ার পাঁচলা থেকে এসেছিলেন সুরজিত্ চক্রবর্তী। তিনি বলছিলেন, ‘আমরা এর আগে জুন মাসে ২০ দিন ধরে ঝাড়গ্রাম থেকে বাঁকুড়া হয়ে অযোধ্যা পাহাড় পর্যন্ত ‘প্রকৃতি যাত্রা’ করেছিলাম। সেখানকার আদিবাসীদের বনাধিকার আইন সংক্রান্ত সচেতনতা প্রচার করা হয়েছে।’ পরিবেশ সংক্রান্ত নানা কর্মসূচির সঙ্গে আগামী দিনে ময়ূরাক্ষী থেকে কাঁসাই নদী পর্যন্তও যাত্রার পরিকল্পনা রয়েছে নদী আন্দোলনকারীদের।
  • Link to this news (বর্তমান)