• ট্রেনের সময় দেখানোর বোর্ডের সঙ্গে একই ছন্দে চলবে অ্যাপও
    আনন্দবাজার | ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • বিভিন্ন অ্যাপে দেখানো সময়ের সঙ্গে নিখুঁত সামঞ্জস্য রেখে মাসখানেকের মধ্যেই ছুটবে শিয়ালদহ ডিভিশনের শহরতলির সমস্ত লোকাল ট্রেন। রেল সূত্রের খবর, শিয়ালদহ ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনে থাকা সমস্ত ট্রেন ইন্ডিকেশন বোর্ডগুলি ন্যাশনাল ট্রেন এনকোয়্যারি সিস্টেম (এনটিইএস)-এর সঙ্গে জুড়ে ফেলা হবে। জোরকদমে ওই কাজ চলছে।

    রেল সূত্রের খবর, ওই কাজ শেষ হলে মূলত দু’টি সুবিধা হবে। এক দিকে ট্রেনের অবস্থান এবং সময়জ্ঞাপক যে সব অ্যাপ রয়েছে, তাতে ট্রেনের প্রকৃত অবস্থান ও আসার সময় নির্ভুল ভাবে পাওয়া যাবে। অন্য দিকে, প্ল্যাটফর্মের ট্রেন ইন্ডিকেশন বোর্ডগুলিও নিখুঁত সময় দেখানোর ফলে যাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তির অবকাশ কমবে। মূলত, রেল বোর্ডের নির্দেশেই ওই কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় করা হচ্ছে বলে রেল সূত্রের খবর।

    রেল বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান সতীশ কুমার দায়িত্ব নেওয়ার পরেই ট্রেনে যাত্রী-সুরক্ষা এবং সময়ানুবর্তিতা রক্ষার উপরে বিশেষ জোর দিয়েছেন। সুরক্ষার ক্ষেত্রগুলিতে জোর দিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে কর্মী নিয়োগের উপরেও জোর দিয়েছেন তিনি। সে জন্য আগেই অর্থ দফতরের অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে রেল বোর্ড। পাশাপাশি, দেশের সব ডিভিশনে ট্রেন চালানোর ত্রুটিবিচ্যুতি চিহ্নিত করতে প্রতিদিন ডেটা লগার যন্ত্রের রিপোর্ট খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সময়ানুবর্তিতা উন্নত করতে প্রয়োজনীয় সমস্যা মেটানোর পাশাপাশি, যাত্রীদের কাছে ট্রেন চলাচল সম্পর্কে তথ্য প্রদানে স্বচ্ছতা আনতে ট্রেন ইন্ডিকেশন বোর্ডগুলিকে ন্যাশনাল ট্রেন এনকোয়্যারি সিস্টেম বা জাতীয় ট্রেন অনুসন্ধান ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছেন চেয়ারম্যান। ওই নির্দেশ কার্যকর হলে ট্রেন আসার সময় নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তি কমবে। কোনও ট্রেন দেরিতে ছুটলে তার অবস্থান এবং দেরির সময় নিয়ে যাত্রীরাও আগাম অবগত থাকার সুযোগ পাবেন।

    রেল সূত্রের খবর, দেশের ট্রেন চলাচলের হাল হকিকত সম্পর্কে তথ্য জোগায় যে সব অ্যাপ, তারা এনটিইএস থেকে সরাসরি তথ্য সংগ্রহ করে। ওই তথ্য প্রত্যেক ডিভিশনের কন্ট্রোল অফিস অ্যাপ্লিকেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে আপডেট হয়। এত দিন ডিভিশন থেকে ওই ট্রেন ইন্ডিকেশন বোর্ডগুলি পরিচালিত হত। ফলে, অ্যাপের তথ্যের সঙ্গে মাঝেমধ্যে সামান্য ফারাক থাকত। রেল বোর্ডের মতে, ট্রেন ইন্ডিকেশন বোর্ডগুলির কার্যকারিতা যাত্রীদের সঙ্গে রেলের সম্পর্ক তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রে একেবারে গোড়ার জায়গা। ফলে, সেটি উন্নত হলে যাত্রীদের সার্বিক ব্যবস্থাপনার প্রতি আস্থা তৈরি হবে।

    এ ছাড়াও, রেলের সর্বত্র জিপিএস নির্ভর ঘড়ির ব্যবহার শুরু হচ্ছে। ফলে, স্টেশনে দেখানো ট্রেনের সময় এবং সময়ানুবর্তিতাকে একই তারে বাঁধা সম্ভব হবে বলে মনে করছে রেল।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)