গত মঙ্গলবার রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভালে কলকাতা পুরসভার একটি মেডিক্যাল দল কর্মরত ছিল। সেই দলে ছিলেন তপোব্রত। অভিযোগ, ধর্মতলায় অনশনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সমর্থন জানিয়ে বুকে ‘প্রতীকী অনশনকারী’ লেখা ব্যাজ পরে ওই দিন কার্নিভালে কাজে যোগ দেন তিনি। তাঁকে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই রাতে তাঁকে জামিনে মুক্তিও দেওয়া হয়। পুরসভার চিকিৎসকদের দাবি ছিল, তপোব্রতের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নেওয়ার বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে হবে কলকাতা পুরসভাকে। যে হেতু তিনি পুরসভার হয়ে কাজ করার সময় গ্রেফতার হয়েছিলেন, তাই তাঁকে তাদের পক্ষ থেকে সব রকমের আইনি সহায়তা দিতে হবে। এই দুই দাবিতেই সোমবার পুরসভা অভিযানে যাবেন আইএমএর চিকিৎসকেরা।

এর আগে পুরসভার চিকিৎসকেরা দাবি করেছিলেন, তপোব্রতকে গ্রেফতারের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে কলকাতা পুলিশকে। সেই দাবি থেকে যদিও তাঁরা আগেই সরে এসেছিলেন। গত শনিবার পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায়চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন পুরসভার চিকিৎসকেরা। তখন বাকি দুই দাবির কথা বললেও পুলিশের ক্ষমা চাওয়ার কথা উল্লেখ করেননি তাঁরা। পুরসভার চিকিৎসকদের সূত্রে খবর, বুধবার যে স্মারকলিপিটি পুরসভায় জমা দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা, তার প্রতিলিপিতে পুলিশকে ক্ষমা চাইতে হবে, এমন কোনও উল্লেখ ছিল না। তবে বুধবার স্মারকলিপি জমা দেওয়ার পর পুরসভার চিকিৎসকেরা দাবি করেছিলেন, পরের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তপোব্রতের গ্রেফতারির জন্য ক্ষমা চাইতে হবে পুলিশকে।

গত শনিবার পুরসভায় প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক হয় চিকিৎসকদের। পুরসভা সূত্রে খবর, সেই বৈঠকে কোনও আশ্বাস পাননি চিকিৎসকেরা। তবে বৈঠকে তপোব্রত পুজোর কার্নিভালের ঘটনা প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানিয়েছেন স্বাস্থ্য আধিকারিককে। বৈঠক শেষে চিকিৎসকদের তরফে দ্বৈপায়ন মজুমদার বলেছিলেন, ‘‘বিষয়টি বিচারাধীন। তাই মন্তব্য করা যাবে না। আর দাবি মানা হবে কি হবে না, তা বলার জায়গায় আমরা নেই। এই দায়িত্ব পুরসভার, তাই সহায়তা দেওয়া হবে কি হবে না, তা আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।’’

কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছিল, সোমবার পুরসভায় কর্মরত চিকিৎসকদের সঙ্গে তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে বৈঠক করতে পারেন ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। এই আবহে সোমবার পুরসভা অভিযানের ডাক দিয়েছেন আইএমএর চিকিৎসকেরা।