• আয়লার মতো তাণ্ডব চালাবে দানা? গতিবেগ অন্তত তাই বলছে
    আজ তক | ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • কালীপুজোর আগে বাংলায় তাণ্ডব চালাতে পারে ঘূর্ণিঝড় দানা। তার অভিমুখ হতে পারে বাংলা ও ওড়িশা। বুধবারের মধ্যে এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যার প্রভাবে বুধবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা ও দক্ষিণবঙ্গে।

    প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূল বরাবর ২৪ অক্টোবরের সকাল নাগাদ পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে সাইক্লোন দানার। এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে ২৩ থেকে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া বইবেয এই হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিমি। 

    ২০০৯ সালে আয়লা ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগও ছিল ১০০ থেকে ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টায়। সেবার ২১ মে জন্ম নিয়েছিল এই ঘূর্ণিঝড়। যা আছড়ে পড়ে ২৫ মে তারিখে। প্রায় ১০ ঘণ্টা সময় নিয়ে সেই ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করেছিল। তার জেরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল ব্যাপক। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ৮০ থেকে ১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টায়। 

    আয়লাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের। কলকাতা, দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল বেশি। প্রচুর মানুষ ঘরছাড়া হয়েছিলেন সেই সময়। চাষের জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়। অনেকে মারাও যান। 

    এদিকে 'দানা' ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনায় ত্রস্ত সুন্দরবন এলাকার মানুষ। সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরতে বারণ করা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন-সহ সাগরের উপকূল তীরবর্তী এলাকায় মানুষজনকে সতর্ক করা হয়েছে। এলাকায় মাইকিং শুরু হয়েছে। গঙ্গাসাগরের কচুবেড়িয়া ঘাটে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা কাজে নেমেছেন। 

    প্রশাসনিক সূত্রে খবর, উপকূল এলাকায় নজরদারি চালাতে বিডিও অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। স্থানীয় বনাসিন্দাদের নিরাপদ এলাকায় প্রয়োজনে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। খোলা হবে রিলিফ সেন্টার। বাঁধ মেরামতির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে কর্মীদের। 
  • Link to this news (আজ তক)