• বচসার জেরে মহিলাকে পিষে মারল লরি চালক, অবশেষে গ্রেপ্তার
    এই সময় | ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • রবিবার রাতে এক মহিলাকে পিষে মারার অভিযোগ উঠল এক পণ্যবাহী গাড়ি চালকের বিরুদ্ধে। ঘটনার আগেই ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামীর সঙ্গে চালকের বচসা হয়। তারপরেই এই ঘটনা। নদিয়ার তাহেরপুর থানা এলাকার এই ঘটনা রীতিমতো শিউরে ওঠার মতো। গাড়ির হেডলাইট নিভিয়ে 'ইচ্ছাকৃত' ভাবে ওই মহিলাকে পিষে মারা হয় বলে অভিযোগ। মৃতের নাম, তন্দ্রা বিশ্বাস(৩২)। তাঁর বাড়ি তাহেরপুরের শ্যামনগর কামগাছি এলাকায়। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর স্বামী সুজন বিশ্বাস। ঘটনার পরেই গাড়ির চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার জালালখালির কাছে একটি ওষুধের দোকান রয়েছে সুজন বিশ্বাসের। রাতে দোকান বন্ধ করে স্ত্রীকে নিয়ে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। শিমুলিয়া পার হওয়ার সময় কুয়াশায় সুজনের চশমা ঘোলা হয়ে যায়। বাইকে বসেই তন্দ্রা চশমা মুছে দিচ্ছিলেন। হঠাৎ চশমাটি মাটিতে পড়ে যায়। চশমাটি খুঁজতে নামেন স্বামী-স্ত্রী দু'জনই। তার মধ্যে আচমকা একটি ইঞ্জিন ভ্যান ঘটনাস্থলে চলে আসে।

    সুজন জানান, রাস্তা আটকানো হয়েছে বলে ইঞ্জিন ভ্যান চালকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। ইঞ্জিন ভ্যানের চালক অশ্রাব্য গালিগালাজ শুরু করে। ঘটনার মাঝেই ইঞ্জিন ভ্যানচালক একজনকে ফোন করে সেখানে আসতে বলে। সে একটি ছোট পণ্যবাহী গাড়ি নিয়ে সেখানে পৌঁছয়। সুজনও নিজের কিছু পরিচিতকে ঘটনাস্থলে ডাকেন। দু’পক্ষের মধ্যে মিটমাট হয়ে গেলে পণ্যবাহী গাড়িটি চলে যায়।

    অভিযোগ, কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ির হেডলাইট নিভিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটে আসে চালক। পিষে দেয় ওই মহিলাকে। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনায় সেখানে থাকা আরও দু’জন জখম হয়েছে বলে খবর। ঘটনায় পরিকল্পনা করে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন সুজন। ঘটনার তদন্তে নেমে পণ্যবাহী গাড়ির চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন মৃতের স্বামী।
  • Link to this news (এই সময়)