• বাজি বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া শুরু করল জেলা প্রশাসন
    এই সময় | ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • ২০২২, ২০২৩ এবং ২০২৪ সাল-পরপর তিন বছর বড় বিস্ফোরণের সাক্ষী থেকেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। বেআইনিভাবে বাজি কারখানা ভূপতিনগর, এগরা এবং কোলাঘাটে বিস্ফোরণের ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল প্রশাসনের বিরুদ্ধে। প্রাণ যায় বহু মানুষের। অবশেষে নড়েচড়ে বসল জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। নিয়ম বেঁধে লাইসেন্স দেওয়া হল। কোনও বেআইনি বাজি যাতে বিক্রি না হয় সে দিকেও কড়া নজরদারি চালানো শুরু হল।দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য রাজ্য সরকার পরিবেশ বান্ধব বাজি তৈরি এবং বিক্রির নির্দেশিকা জারি করেছে। সেই মোতাবেক অন্যান্য জেলার মতো পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেও পরিবেশ বান্ধব বাজি বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, ৬৯টি লাইসেন্স এ দিন দেওয়া হয়েছে। জেলায় মোট ৮২টি আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ১৩টি ত্রুটিযুক্ত থাকার কারণে তা বাতিল করা হয়েছিল।

    পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) শৌভিক ভট্টাচার্য জানান, অনলাইনে আবেদন করার পর সেই আবেদন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার ভিত্তিতে দেওয়া হচ্ছে লাইসেন্স। জেলা প্রশানের বিভিন্ন স্তরের কর্তারা সব দিক খতিয়ে দেখেই লাইসেন্স দিয়েছে। আগামিদিনে এই সংখ্যাটা বাড়তে পারে। সামনেই কালীপুজো, কোনওভাবেই যাতে বেআইনিভাবে বাজি তৈরি না হয়, সেই দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে জেলা পুলিশ।

    পুলিশের নজর এড়িয়ে গোপনে বহু ব্যবসায়ী বাজি তৈরি থেকে বিক্রির চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। গত ৪ দিনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১১ কুইন্টাল বাজি উদ্ধার করেছে। জেলা পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘জেলার বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালিয়ে সব মিলিয়ে ১১ কুইন্টাল বেআইনি বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আগামিদিনে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।’

    উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের চিংড়িমারিতে পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরির হাব করার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। প্রশাসনিক কর্তারা এই কারখানার জন্য জায়গা পরিদর্শন করে এবং দফায় দফায় বৈঠক করে। এই হাব তৈরি হলে বাজি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অনেক পরিবারের আর্থিক লাভ হবে বলে জানাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল।
  • Link to this news (এই সময়)