• তৃণমূলে যোগ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বোনের, উপনির্বাচনের আগে অস্বস্তিতে BJP?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা জন বার্লার বোন মেরিনা কুজুর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন রবিবার। জানা গিয়েছে, গতকাল শাসক দলের বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল নাগরাকাটায়। সেখানেই আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন মেরিনা। উল্লেখ্য, বার্লার বোন এতদিন জলপাইগুড়ির এসটি মোর্চার জেলা সভাপতি ছিলেন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুলকাপাড়া এলাকা থেকে বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত হন মেরিনা। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, এই উপনির্বাচনে বিজেপির থেকে টিকিট পাবেন বলে আশা করেছিলেন মেরিনা। টিকিট না পেয়েই শিবির বদল করলেন তিনি। এর আগ লোকসভা ভোটে জন বার্লাকেও টিকিট দেয়নি বিজেপি।

    এদিকে দল বদল করে মেরিনা দাবি করেছেন, খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কাজ দেখেই তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, দল থেকে এতদিনে তিনি কোনও সহযোগিতা পাননি। এদিকে এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে তাঁর দাদার কোনও যোগ নেই বলে স্পষ্ট করেছেন মেরিনা। তিনি দাবি করেন, জন বার্লার সঙ্গে দল বদল প্রসঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি তাঁর। এই সিদ্ধান্ত একান্ত ভাবে তাঁর ব্যক্তিগত।

    উল্লেখ্য, আগামী ১৩ নেভম্বর বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গের অন্যতম দুই কেন্দ্র হল - সিতাই, মাদারিহাট। উত্তরবঙ্গে বিজেপির মাটি শক্ত থাকলেও গত বিধানসভা ভোটে সেখানে থাবা বসিয়েছিল তৃণমূল। চলতি বছরের লোকসভা ভোটে কোচবিহার আসনটিও হাতছাড়া হয় বিজেপির। এরই মাঝে আবার 'বিদ্রোহী' সুর শোনা গিয়েছে তাদেরই দলের রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজের গলায়। এর আগে লোকসভা নির্বাচনের সময়ও তাঁর গলায় শোনা গিয়েছিল বিদ্রোহী সুর। এই আবহে কোচবিহারের আসনটি হারাতে হয়েছিল বিজেপিকে। আর এবার সিতাই উপনির্বাচনের প্রার্থী বাছাই নিয়ে উষ্মা প্রকাশ অনন্তের।

    উপনির্বাচনের প্রাক্কালে অনন্ত মহারাজের অভিযোগ, কোচবিহার জেলা নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেন না। এই আবহে অনন্ত বলেন, দিল্লি যদি বলে, তাহলে তিনি প্রচারে নামবেন, নয়ত তিনি দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামবেন না। উল্লেখ্য, উপনির্বাচনে সিতাই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন দীপক কুমার রায়।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)