গভর্নমেন্ট বলে একটা পদার্থ আছে, সিস্টেমটা বুঝুন!আরজি করের সাসপেন্ডে ক্ষুব্ধ মমতা
হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ অক্টোবর ২০২৪
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত উষ্মাপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মূলত কেন সরকারকে না জানিয়ে সাসপেন্ড করা হয়েছে তা নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের মিটিংয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। তিনি দাবি করলেন, আপনি নিজেই ৫৯ জনকে সাসপেন্ড করে দিলেন? আপনি স্বাস্থ্য দফতরকে সেটার প্রস্তাব পাঠালেন না কেন? সেখান থেকে আমি সিদ্ধান্ত নিতাম। এটা থ্রেট কালচার নয়? প্রশ্ন মমতার।
মমতা প্রিন্সিপালদের বলেন, তোমরা ফাইনাল ডিসিসন নিতে পারো না।
কেন সাসপেন্ড করার আগে সরকারের ওপর মহলে জানানো হয়নি তানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। পালটা কার্যত মুখ্য়মন্ত্রীকে থামিয়ে জবাব দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, আরজি করের প্রিন্সিপাল যিনি ছিলেন তার রুমে যাওয়ার জন্য আমাদের ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হত।
মমতা বলেন, আমাদের জানাননি কেন?
জুনিয়র ডাক্তাররা পালটা বলেন, কতবার জানাবো! অজস্র বার অভিযোগ জানিয়েছি। কেউ কিছু করেনি।
এরপরই কার্যত অস্বস্তিতে পড়েন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। তিনি বলেন, আরজি কর নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। কার্যত এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ধর্ষকদের পাশে আমিও নেই।
তিনি বলেন, গভর্নমেন্ট বলে একটা পদার্থ আছে, সিস্টেমটা বুঝুন! বললেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। এদিকে অপর এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, গাইডলাইন মেনেই ওদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এই কথা শোনার পরে অস্বস্তি আরও বাড়ে। এরপর কার্যত ধমক দিয়ে চুপ করানোর চেষ্টা করা হয়। এমনকী প্রিন্সিপালরা যে এই মিটিংয়ের কথা বলবেন না সেটাও জানিয়ে দেন মমতা । তিনি বলেন, এখানে জুনিয়র ডাক্তাররা কথা বলেছেন। সিএস আর আমি ছাড়়া কেউ কথা বলবেন না।
মমতা বলেন, যে ম্যাটারটা সাবজুডিশ সেটা নিয়ে কিছু বলব না। এরপর তিনি বলেন, আপনাদের আইনজীবী আদালতে বললেন, হাসপাতালে তুলো ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায় না। তোমাদের আইনজীবী বললেন, এটা কি কারেক্ট। এরপর মমতা বলেন, আমাদের মুখটা কতটা পুড়ল। বলে দিল আমাদের হাসপাতালে তুলো ছাড়া কিছু পাওয়া যায় না। আবার তিনি বলেন, সাবজুডিশ ম্যাটারে কথা বলতে পারি না।
ওয়েস্ট মেডিক্যাল কাউন্সিল নিয়ে আমি যখন তখন করতে পারি না। বললেন মমতা।
তিনি বলেন, আমরা দুজনকে সাসপেন্ড করেছি। তোমরা নামগুলো বলছিলেন আমি বলতে দিইনি। আমি সাসপেন্ড করেছি।