‘তোর সব স্ট্রাকচারের ছবি তুলব…’, পার্ক সার্কাস থেকে ট্রেনে উঠে 'হুমকি' যুবতীকে!
হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ অক্টোবর ২০২৪
শিয়ালদাগামী লোকাল ট্রেনের মধ্যেই এক যুবতীকে কটূক্তি করার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ উঠেছে যে ‘প্রত্যেক অ্যাঙ্গেল থেকে’ যুবতীর ছবি তুলে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। বাধা দেওয়ায় যুবতীর সঙ্গীকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, শিয়ালদা স্টেশনে যখন জিআরপিতে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন, তখন তাঁদের শাসাতে থাকে তিন অভিযুক্ত যুবক। দেখে নেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন যুবতী। পরবর্তীতে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে জিআরপির বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, এক আধিকারিক দুর্বব্যবহার করেছেন যুবতীদের সঙ্গে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে জিআরপি। আপাতত জিআরপির তরফে জানানো হয়েছে, তিনজনকে গ্রেফতার ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আজ তাদের আদালতে পেশ করা হবে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে যুবতীদের সঙ্গে দুর্বব্যবহারের কোনও প্রমাণ মেলেনি।
যুবতী অভিযোগ করেছেন, যে তিনজন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা রবিবার রাতে পার্ক সার্কাস থেকে ট্রেনে উঠেছিল। রবিবার রাত ন'টা নাগাদ তিনি এবং তাঁর সঙ্গী ঢাকুরিয়া স্টেশন থেকে শিয়ালদাগামী লোকাল ট্রেনে উঠেছিলেন। বালিগঞ্জ পেরিয়ে পার্ক সার্কাস আসা পর্যন্ত কোনও সমস্যা হয়নি। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু পার্ক সার্কাস থেকে কয়েকজন যুবক ট্রেনে উঠে তাঁকে কটূক্তি করতে থাকে।
তিনি দাবি করেছেন, তাঁর ছবি তোলার চেষ্টা করছিল অভিযুক্তরা। হুমকি দিচ্ছিল যে সবদিক থেকে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয়। প্রতিবাদ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। উলটে শাসিয়ে বলতে থাকে যে ছবি তুলছে, বেশ করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সব ছবি ছড়িয়ে দেবে। তাতে মেজাজ হারিয়ে এক যুবককে সপাটে চড় মারেন। তারপরই তাঁর সঙ্গীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন যুবতী।
যুবতীর কথায়, ‘ তোর প্রত্যেকটা অ্যাঙ্গেল এবং প্রত্যেকটা স্ট্রাকচারের ছবি নিয়ে আমি প্রত্যেকটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেব। আমি সপাটে একটা চড় মারায় তিন-চারজন ছেলে মিলে ওকে স্টেশনে সকলের সামনে মারধর করেছে। আমার বয়ফ্রেন্ড আমায় রক্ষার চেষ্টা করছিল।’
তিনি দাবি করেছেন, শিয়ালদা স্টেশনের ২১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম পুরো ঘটনাটি ঘটেছে। তারপর জিআরপির আধিকারিকরা এসে তিন যুবককে আটক করে নিয়ে যান। তাঁদের মধ্যে উর্দি পরে থাকা এক জিআরপি আধিকারিক আবার হুমকি দেন যে ‘তোদের লক-আপে ঢোকাব।’ যুবতীর বাবা অভিযোগ করেছেন, তাঁর মেয়ে যখন অভিযোগ দায়ের করছিলেন, তখন অভিযুক্ত যুবকরা শাসাচ্ছিল যে ‘তোরা যা পারিস করে নে, তারপর আমরা দেখে নেব।’