• কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী, জেলায় শুরু আবাস-সমীক্ষার কাজ
    এই সময় | ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • কেন্দ্র না দিলে রাজ্য আবাস যোজনার টাকা দেবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকেই সেই টাকা দেওয়ার কথা। সেই মতো সমীক্ষার কাজও শুরু হয়ে গেল হুগলিতে। জেলার ২০৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে পঞ্চায়েত কর্মীরা সমীক্ষার কাজ শুরু করেছেন। বাড়ি পাওয়ার জন্য প্রকৃত যোগ্য কারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের তালিকায় ভুয়ো নাম থাকার অভিযোগ তুলে কেন্দ্র প্রায় দু’বছর ধরে বাংলার বরাদ্দ আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ। রাজ্য নিজের বরাদ্দ থেকে গ্রামীণ এলাকায় গরিব মানুষের বাড়ি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। সেখানে উপভোক্তাদের তালিকা তৈরি নিয়ে যাতে প্রশ্ন না-ওঠে, সে জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে।

    হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারার বক্তব্য, 'মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের কাছে বারবার টাকা চেয়েছেন। কেন্দ্র আবাসের টাকা দেয়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রী নিজেই উদ্যোগী হয়েছেন। উপভোক্তাদের সমস্ত তথ্য যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। তারপরেই মিলবে টাকা।' হুগলি জেলা পরিষদের সেক্রেটারি মৃনালকান্তি গুঁই বলেন, 'আবাসের সার্ভে শুরু হয়েছে। আগামী ৩১ তারিখ পর্যন্ত এই সার্ভে চলবে।'

    মূলত, ২০২০-২১ সালে আবাস প্লাসের তালিকায় (সংযোজিত) যাঁদের নাম ছিল এবং বন্যায় যাঁদের ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁদের এই প্রকল্পের টাকা দিতেই এই সার্ভে শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে যে শর্তগুলি রয়েছে তা মানা হচ্ছে কি না তাও দেখা হচ্ছে।

    জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, চূড়ান্ত তালিকা গ্রামসভায় অনুমোদন করার পর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বিডিও ও এসডিও অফিসে টাঙিয়ে দিতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ তা দেখতে পান। এর আগেই একটি নির্দেশিকায় নবান্ন জানিয়েছে, এই তালিকা প্রকাশের পরেও তিনটি স্তরে ফের তথ্য যাচাই করতে হবে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, নিয়ম মেনে যা যা করার তাই হবে।

    চুঁচুড়া মগরা ব্লকের কোদালিয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা টোটোন রায়। তাঁর স্ত্রী মধুবালা রায় বলেন, 'শুনছি এ বার রাজ্য সরকার টাকা দেবে। আশা করছি, এবার আমরাও মাথার উপর ছাদ পাব।'
  • Link to this news (এই সময়)