বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব ঠিকই। কিন্তু দুর্গাপুজো মিটতেই নৈহাটিতে শুরু হয় আরও এক উৎসবের আবহ। নৈহাটির কালীপুজো বিখ্যাত। আর এখানকার বড়মার পুজো তো সকলের মুখে মুখে ফেরে। দেশ বিদেশ থেকে মানুষ আসেন বড়মার পুজো দেখতে। নৈহাটির কালীপুজো দেখতে প্রতি বছরই রেকর্ড ভিড় হয়। জেনে নিন এবার বড়মার পুজোর নির্ঘণ্ট।৩১ অক্টোবর বড়মার পুজো। তবে যেহেতু লক্ষ লক্ষ মানুষ বড়মার পুজো দিতে আসেন এবং বহু দূর দূরান্ত থেকে আসেন। ফলে এবার এক সপ্তাহ আগে থেকেই পুজো নেওয়ার কাউন্টার খুলে দেওয়া হবে। ২৪ তারিখ থেকে পুজো নেওয়া শুরু হবে।
তবে ২৪ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নেওয়া হবে মানতের পুজো। ৩০ ও ৩১ তারিখ নেওয়া হবে ফলপ্রসাদ ও সন্দেশের পুজো। কালীপুজোয় ৩১ তারিখ রাত ১১ টায় পুজোয় বসবেন পুরোহিত। রাত প্রায় ১টা নাগাদ হবে অঞ্জলি।
তারপর ভোগ প্রসাদ বিতরণ। এ বছর প্রায় ৪ হাজার কিলো ভোগের ব্যবস্থা রাখার চিন্তাভাবনা রয়েছে মন্দির কমিটির। আগে পুজোস্থল সংলগ্ন জায়গা থেকেই সন্দেশ প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা থাকত। তবে এবার নৈহাটি মহেন্দ্র হাইস্কুল এবং পুরসভার সামনে থেকে দেওয়া হবে কুপন। মূলত ভিড় এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১০০ ভরি সোনা, ২০০ কেজি রুপোর অলঙ্কারে সেজে উঠবে বড়মা। মাথা থেকে পা, বাহারি গয়নার অপূর্ব শোভা। পুজোর দিন বিপুল গয়নায় সালঙ্কারা বড়মা বিসর্জনের দিন আবার সাজে ফুলের সাজে। ভক্তরা বলেন, মায়ের দিক থেকে চোখ ফেরানো যায় না সেদিনও। অপূর্ব সে সাজ। এবার ভাইফোঁটার পর দিন অর্থাৎ ৪ নভেম্বর বিকাল ৪টেয় নিরঞ্জন। প্রতিবার এই প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতেও হাজার হাজার মানুষের ভিড় হয়।
অনেকে গঙ্গাবক্ষে নৌকা করেও ভাসান দেখতে যান। নৈহাটির কালীপুজো মানেই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এবারও মন্দির কমিটি ও প্রশাসনের তরফে মোতায়েন থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা কর্মী। কোনওরকম কোনও সমস্যায় ভক্তরা পড়লেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন তাঁরা। অনুমান প্রতি বছরের মত এ বছরও লক্ষাধিক ভক্তসমাগম ঘটবে বড়মার কাছে।