• নিজের অনশন থেকে ব়্যাগিং, জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে মমতার ১০ গুরুত্বপূর্ণ কথা
    আজ তক | ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • মমতা জানিয়েছিলেন সোমবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে নবান্নে আন্দোলনরত ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। সেই মতো আজ বিকেল চারটে কুড়ি নাগাদ ধর্মতলা থেকে সতেরো জন ডাক্তার বাসে চড়ে রওনা দেন নবান্নের উদ্দেশ্যে। এরপরই নবান্নের সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠক শুরু হয়। যেখানে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় দুপক্ষের। যেখান থেকে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। 

    ১) অধ্যক্ষদের সমালোচনা
    এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, অনেক অধ্যক্ষ, সুপার নিজেদের কাজ করে না। এই বিষয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে একমত হন। তাঁরা রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করেন।

    ২) চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়েছে
    মমতা বৈঠকেই বলেন যে এই রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়েছে। আগে ৪ হাজার ছিল, আমরা এসে তা বাড়িয়ে ১৭ হাজার করেছি। ৩৫টি মেডিক্যাল কলেজ করেছি। পেডিয়াট্রিক বিভাগ প্রায় ৬০০। সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র হয়েছে। ওগুলো প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র। সেখানে সব চিকিৎসক দিলে হাসপাতাল চলবে কী করে?

    ৩) থ্রেট কালচার
    নর্থ বেঙ্গলের একটি হাসপাতালে এক চিকিৎসককে প্রেশার দিয়ে ইস্তফা দেওয়ার বিষয়েও মমতা বলেন যে এটা কি থ্রেট কালচারের মধ্যে পড়ছে না? আপনাদের অভিযোগ থাকলে দিতে পারেন, তার জন্য সুস্থ, সামাজিক পরিকাঠামোর দরকার। 

    ৪) ব়্যাগিং নিয়ে বললেন মমতা
    ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিংয়ের ঘটনায় নিহত পড়ুয়ার প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি জানালেন, এই মানসিকতাও বদলাতে হবে। তাঁর কথায়, আমরা চাই না ব়্যাগিং হোক।

    ৫) আরজি করে ৪৭ জনকে সাসপেন্ড
    মমতা বলেন, আরজি করের প্রিন্সিপাল কেন ৪৭ জনকে সাসপেন্ড করলেন? কীভাবে নিজে সিদ্ধান্ত নিলেন? রাজ্য সরকারকে জানানোর প্রয়োজন মনে করলেন না। তদন্ত না করে কাউকে সাসপেন্ড নয়। ইচ্ছে মতো কাজ করবেন না। 

    ৬) গ্রিভ্যান্স সেল
    জেলায় জেলায় গ্রিভ্যান্স সেল হওয়া উচিত বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

    ৭) তদন্ত করা হবে
    বিভিন্ন হাসপাতালে সাসপেনশন নিয়ে মমতা বলেন যে তদন্ত না করে সাসপেনশন নয়। পক্ষপাতিত্ব চলবে না। 

    ৮) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল
    বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কীভাবে তৈরি হল, কীভাবে সাসপেন্ড করা হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। 

    ৯) মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ
    মমতা বলেন, রং জানার দরকার নেই। পরিচয় জানার দরকার নেই। যদিও জানি সব। ৫৬৩ জন আন্দোলন চলার সময় বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথীতে চিকিৎসা করে টাকা নিয়েছেন।

    ১০) মমতার অনশন প্রসঙ্গ
    মমতা জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন প্রসঙ্গে নিজের অনশনের দিনগুলোর কথাও তুলে ধরলেন। মমতা বলেন, তোমরা সাধ্যমতো অনশন করেছো। ভাল করেছো। আমি ২৬ দিন অনশন করেছি। কেউ আসেনি। আমি মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবকে পাঠিয়েছি। রোজ খবর নিয়েছি। ঘণ্টায় ঘণ্টায় রিপোর্ট নিই।
  • Link to this news (আজ তক)