'অনশন প্রত্যাহার করে কাজে ফিরুন', ডাক্তারদের আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর
আজ তক | ২২ অক্টোবর ২০২৪
দ্বিতীয়বারের নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠক। সোমবার বিকেল ৫টায় আন্দোলনকারীদের সময় দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বার বার আবেদন করেছেন অনশন প্রত্যাহার করে বৈঠকে যোগ দেওয়ার। এই মর্মে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের তরফ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে ই-মেলও পাঠানো হয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও ‘শর্ত’ না মেনেই বিকেলে নবান্নের হাইভোল্টেজ বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। দাবিদাওয়া পূরণ না হলে অনশন চলবে এবং মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ধর্মঘটের সিদ্ধান্তেও অনড় আন্দোলনকারীরা।
একদিনে সব কিছু মিলবে না, অপেক্ষা করতে হবে : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুনিয়র ডাক্তারদের জানান, একদিনে সব দাবি মেনে নেওয়া যায় না। সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে।
অনশনকারীরা কেমন আছে সেটা আমি প্রতিদিন খোঁজ নিই : মমতা
অনশনকারীরা কেমন আছে। তাদের শরীরের অবস্থা কেমন এসব নিয়ে তিনি খবরাখবর রাখেন। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অনশন তুলে কাজে ফিরুন : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
অনশন তুলে কাজে ফিরুন। জুনিয়র ডাক্তারদের বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। তিনি বলেন, জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরলে সবার ভালো হবে। সবাই চাইছেন।
'সুপ্রিম কোর্টে অপমানিত হয়েছে রাজ্য'
জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতালে তুলো ছাড়া কিছু পাওয়া যায় না। অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'এই বক্তব্য গোটা দেশ শুনেছে। এতে রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এটা বলা তো উচিত হয়নি।'
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ডাক্তার অনিকেতের। অনিকেত বলেন, 'আরজি করে তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারপর সাসপেন্ড করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় জানান, এভাবে সরকারকে না জানিয়ে সাসপেন্ড করা যাবে না।'
সরকারকে না জানিয়ে কেন ছাত্রদের সাসপেন্ড? আরজি করের অধ্যক্ষকে জিজ্ঞাসা
আরজি করের অধ্যক্ষ কেন সরকারকে না জানিয়ে সেই কলেজের অনেককে সাসপেন্ড করল? সেই প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'কেন এভাবে সাসপেন্ড করা হবে? অধ্যক্ষ কেন এটা করবে? এক একজন ডাক্তারের পিছনে সরকার খরচ করে। সেদিকে কেন খেয়াল রাখা হবে?'
বাংলা স্বাস্থ্য নম্বর ওয়ান : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সারা ভারতে স্বাস্থ্যে বাংলা নম্বর ওয়ান। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন ত্রুটি আছে। তা সরকার ঠিক করবে। তবে সময় দিতে হবে। মমতা বলেন, 'আমি চাই ১০০ শতাংশ কাজ হোক। তবে আস্তে আস্তে হবে।'
ডাক্তারদের কাজ বেড়েছে, তবে হাসপাতালও বেড়েছে : মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সবার মতকে স্বাগত। ডাক্তাররা যেহেতু হাসপাতালে কাজ করবে সেজন্য তাদের সুবিধা-অসুবিধে দেখা দরকার। তাদের কোনও অভিযোগ থাকলে বা সাজেশন থাকলে মেইলে জানাতে পারেন। এই সরকারের আমলে আগের থেকে বেশি মেডিক্য়াল কলেজ তৈরি হয়েছে। অনেক কষ্ট করে হাসপাতালগুলো চালানো হচ্ছে। তারপরও হাসপাতালের বেড বাড়ানো হয়েছে। এতে কাজের চাপ বেড়েছে। তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
একাধিক আশ্বাস মুখ্যসচিব
জুনিয়র ডাক্তারদের মুখ্যসচিব একাধিক আশ্বাস দেন। মনোজ পন্থ জানান, ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজের ভোট সম্পন্ন হবে। রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ করা হবে।
হাসপাতালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কাজ হচ্ছে
হাসপাতালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর। জানালেন মুখ্যসচিব। তিনি জানান, হাসপাতালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হোক, এটা সবাই চান। সেই মোতাবেক কাজও হচ্ছে। সবার লক্ষ্য হল সুস্থ পরিবেশে কাজ করানো।
স্বাস্থ্যসচিবকে অভিযুক্ত বলা যাবে না, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য সচিবের অপসারণ চেয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে সেএই দাবি মানেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিটিংয়ের মাঝে স্বাস্থ্য সচিবকে অভিযুক্ত বলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাতে আপত্তি জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, দোষী প্রমাণিত হওয়ার আগে অভিযুক্ত বলা যাবে না।
বক্তব্য রাখলেন জুনিয়র ডাক্তাররা
মুখ্যমন্ত্রীর সামনে নিজেদের দাবিদাওয়া তুলে ধরলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের তরফে হাসপাতালে নিরাপত্তা, সেখানকার পরিবেশ, ইলেকশন ইত্যাদি নিয়ে দাবি জানানো হয়। জুনিয়র ডাক্তাররা জানান, হাসপাতালের নিরাপত্তা নেই। মেয়েরাও নিরাপদ নয়। তাই হাসপাতালের নিরাপত্তা নেই।
‘থ্রেট কালচার’ প্রসঙ্গ তুললেন জুনিয়র চিকিৎসকরা
বৈঠকে দেবাশিস হালদারের মুখে উঠল ‘থ্রেট কালচার’-এর প্রসঙ্গ। এই প্রসঙ্গে বিরুপাক্ষ এবং অভীকের নাম নিতেই থামিয়ে দিলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘উপস্থিত নেই যখন, নাম নেবেন না। নাম নিলে তো তাঁকেও তাঁর কথা বলার জায়গা দিতে হয়। ’’ ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে মুখ খোলেন কিঞ্জল ও অনিকেতও।
বৈঠকে রয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব
নবান্নের বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমও।
বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং হচ্ছে
বৈঠকের শুরুতেই বক্তব্য রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রয়েছেন ১৭ জন জুনিয়র চিকিৎসকই। এর আগে ‘লাইভ স্ট্রিমিং’-র দাবিতে নবান্নে ভেস্তে গিয়েছিল জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক। এ বার আন্দোলনকারীরা সে রকম কোনও দাবি রাখেননি। তা সত্ত্বেও বৈঠকের ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ হচ্ছে।
অনশনের ১৭ তম দিনে বৈঠক
জুনিয়র চিকিৎসকদের ১০ দফা দাবিতে আমরণ অনশনের ১৭ তম দিনে ফের বৈঠকে মুখোমুখি হতে চলেছে দু-পক্ষ। প্রশাসন-জুনিয়র চিকিৎসকদের সংঘাতের মাঝে নবান্নে আর কিছুক্ষণ পর হতে চলেছে হাইভোল্টেজ বৈঠক। আর সেই বৈঠকের কিছুক্ষণ আগে সাংবাদিক বৈঠক করলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা । সেখানে চিকিৎসকরা জানান, এখনও পর্যন্ত চিকিৎসকদের আস্থা অর্জনে কোনরকম পদক্ষেপ করেনি রাজ্য সরকার।
জুনিয়র চিকিৎসকদের সাংবাদিক বৈঠক
মেডিক্যাল কলেজগুলোতে নিরাপত্তা বাড়াতেও কোন পদক্ষেপ করেনি সরকার। এমনকি কাজে ফিরলেও জুনিয়র ডাক্তারদের কোন দাবি পূরণ করা হয়নি। সেইসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সরকার সব দায় চাপাতে চাইছে জুনিয়র চিকিৎসকদের ঘাড়ে। মেডিক্যাল কলেজগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও মিথ্যে তথ্য দিয়েছে সরকার। এর পাশাপাশি হাসপাতালের সুরক্ষা নিয়েও প্রশাসনের তরফ থেকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনকারী দেবাশিস হালদার নবান্নে যাওয়ার আগে অনশনমঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “এই যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তা কাটবে বলে আশা। আমাদের দাবি ছিনিয়ে আনতে পারব। আমাদের সহযোদ্ধারা অনশনে রয়েছেন। তাঁরাই স্থির করেছেন, কারা কারা যাবেন। আমরা নির্দিষ্ট সময়েই পৌঁছব। কয়েকটি ফাইল নিয়ে যাব। বলা হয়েছিল, তথ্য প্রমাণ থাকলে যাতে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা তাই নিয়ে যাচ্ছি।