নবান্নে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করেছিলেন অনশন তুলে নেওয়ার জন্য। মমতার সঙ্গে মিটিং সেরে এসে তাঁরা অনশন মঞ্চের সামনে অনশন তুলে নেওয়ার ঘোষণা করলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অভয়ার বাবা-মা। জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, প্রশাসনের শরীরী ভাষা তাঁদের ভাল লাগেনি। নির্যাতিতার বাবা-মার অনুরোধে তাঁরা এই অনশন তুলে নিচ্ছেন। শনিবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গণ কনভেশনের ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
পূর্বের কথা মতই সোমবার জুনিয়র ডাক্তাররা আলোচনায় বসেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। নবান্নে আগে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের জন্য ভেস্তে গিয়েছিল বৈঠক। এ বার জুনিয়রদের দাবি ছাড়াই বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং করছে নবান্ন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের পাশপাশি স্বাস্থ্যসচিবও। দেবাশিস, অনিকেত, কিঞ্জল, আশফাকুল্লারা নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তাঁদের দাবিদাওয়া তুলে ধরেন। বৈঠক চলাকালীন এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, 'স্বাস্থ্যসচিবের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ রয়েছে। আপনি প্রমাণ চেয়েছেন। স্যরের হাত দিয়ে বেশ কিছু চিঠি বেরিয়েছে।' তারপরই মুখ্যমন্ত্রী অভিযুক্ত শব্দ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তখন এক জুনিয়র চিকিৎসক পাল্টা বলেন, দোষ প্রমাণের আগে তাঁকে দোষী বলা যাবে না। তবে অভিযুক্ত বলা যেতে পারে।'
জুনিয়র ডাক্তারদের মমতা বলেন, 'কোনও রকম আলোচনা ছাড়ায় তোমরা মিডিয়া ডেকে থ্রেট কালচার চালাচ্ছ। মিডিয়ার সামনে ছাত্রদের সাসপেন্ড করাচ্ছ। সরকার বলে একটি পদার্থ রয়েছে।' এরপর তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দেন। জিজ্ঞাসা করেন, "আরজি করের প্রিন্সিপাল কেন ৪৭ জনকে সাসপেন্ড করলেন কেন? কী ভাবে নিজে সিদ্ধান্ত নিলেন? রাজ্য সরকারকে জানানোর প্রয়োজন মনে করলেন না? এটা থ্রেট কালচার নয়?" তিনি জানান, "তদন্ত না করে কাউকে সাসপেন্ড নয়। ইচ্ছে মতো কাজ করবেন না। কেউ কাউকে থ্রেট করবেন না। আমি ক্ষমতায় বলে থ্রেট করতে পারি না।"
বিস্তারিত আসছে...