তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের বলেন, 'কোনও রকম আলোচনা ছাড়ায় তোমরা মিডিয়া ডেকে থ্রেট কালচার চালাচ্ছ। মিডিয়ার সামনে ছাত্রদের সাসপেন্ড করাচ্ছ। সরকার বলে একটি পদার্থ রয়েছে।' এরপর তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দেন। জিজ্ঞাসা করেন, "আরজি করের প্রিন্সিপাল কেন ৪৭ জনকে সাসপেন্ড করলেন কেন? কী ভাবে নিজে সিদ্ধান্ত নিলেন? রাজ্য সরকারকে জানানোর প্রয়োজন মনে করলেন না? এটা থ্রেট কালচার নয়?" তিনি জানান, "তদন্ত না করে কাউকে সাসপেন্ড নয়। ইচ্ছে মতো কাজ করবেন না। কেউ কাউকে থ্রেট করবেন না। আমি ক্ষমতায় বলে থ্রেট করতে পারি না।"
জুনিয়র ডাক্তারদের থেকে অনিকেত মাহাতো বলেন, 'কমিটি তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার পর সাসপেন্ড করা হয়েছে।' এরপর মুখ্যমন্ত্রী রেগে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, "কোনও আলোচনা না করে সাসপেন্ড কেন?" আরও বলেন, এ ভাবে তাঁদের না জানিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে না। প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করা যেতে পারে না। সাসপেন্ড করা নিয়ে মমতা জানান, 'আগামী দিনে এর তদন্ত হবে। কোনও পক্ষপাতিত্ব কড়া চলবে না।' প্রশ্ন তোলেন, সরকারকে না জানিয়ে 'অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল' তৈরি কীভাবে তৈরি করা হল? কীভাবে সাসপেন্ড করা হল?
মুখ্যমন্ত্রীর এই থ্রেট কালচার নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। অনিকেত মাহাতো বলেন, অনেক অভিযুক্তের পরীক্ষার খাতা দেখলে দেখা দেখা যাবে, তিনি ১০ নম্বরও পাননি। অথচ পদক পেয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। হাউস স্টাফ হয়েছেন। মমতা এরপর বলেন, অনেকের বিরুদ্ধেই অনেক অভিযোগ রয়েছে।