প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে দুজনে পালিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। পরিকল্পনা মত সন্তানকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে আসার পর, সোনাদানা ও টাকাপয়সা নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গিয়েছিলেন প্রেমিকা বধূ। কিন্তু দু'জনের মধ্যে রাস্তায় ব্যাগ নিয়ে কথাকাটাকাটি শুরু হলে প্রেমিক প্রেমিকাকে এলোপাতাড়ি ক্ষুর মেরে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।স্থানীয়রাই রক্তাক্ত অবস্থায় বধূকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। জখম বধূ ছন্দা খাঁ (৩২) এখন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনিই স্থানীয়দের কাছে জানান পাড়ারই যুবক সুচাঁদ প্রামাণিক (২৮) তাঁর উপর হামলা চালিয়েছে।হামলাকারী সুচাঁদ প্রামাণিক বাইক নিয়ে চম্পট দেয়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। আধঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্ত সুচাঁদকে আটক করে ফেলে ভাতার থানার পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে কামারপাড়া গ্রামের বাজারের সাহাপাড়া এলাকায় রয়েছে রাধারাণী মুক্তমঞ্চ। এই মুক্তমঞ্চের সামনেই রক্তাক্তবস্থায় ছন্দাদেবীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় কয়েকজন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন বধূ ওই সময় তাঁদের জানান পাড়ারই বাসিন্দা সুচাঁদ তাঁর উপর হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মিঠুন মিস্ত্রি জানান ছন্দা খাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় তিনি বলেন সুচাঁদের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। সোনাদানাহ ও টাকার ব্যাগ নিয়ে ছন্দা বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এসেছিল। কিন্তু জামাকাপড়ের ব্যাগটা সঙ্গে আনেনি বলে আবার যখন বাড়িতে যাচ্ছিল তখন দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। তখন সুচাঁদ তার কাছে থাকা ক্ষুর বের করে এলোপাতাড়ি কোপ মারে। তারপর সোনার গহনা ও টাকাপয়সার ব্যাগটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
জানা যায় কামারপাড়া গ্রামের ওই মুক্তমঞ্চের পাশে রয়েছে একটি গলি রাস্তা। ওই গলিতেই দুজনের মধ্যে কথাবার্তার সময় এই ঘটনা ঘটে। ছন্দাদেবী বাঁচার জন্য রক্তাক্তবস্থায় ছুটে গিয়ে একটি বাড়ির দরজায় প্রথমে ধাক্কা দেন। কিন্তু ওই বাড়িতে লোকজন ছিলেন না। এরপর কোনওরকমে মুক্তমঞ্চের সামনে মাঠে এসে লুটিয়ে পড়েন। কয়েকজন চিৎকার শুনে মুক্তমঞ্চের সামনে এসে তাঁকে দেখতে পান।
জানা গিয়েছে ছন্দাদেবীর প্রায় ১৪ বছর আগে বিয়ে হয়েছে। দুই সন্তান রয়েছে। তাঁর স্বামী ভাতারের ওড়গ্রামে একটি গোডাউনে কাজ করেন। খবর পেয়ে ভাতার থানার পুলিস যায়। তারপর অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিস। এলাকা থেকেই তাঁকে পুলিস ধরে।