নব্যেন্দু হাজরা: ৪৫ মিনিটের বৈঠক গড়াল দুঘণ্টা। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, পালটা যুক্তি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যুক্তি, পালটা যুক্তি, দাবি- প্রতিশ্রুতির এই বৈঠক থেকে কে কী পেল?
প্রথম দাবি, অভয়া কাণ্ডে দ্রুত ও স্বচ্ছ বিচার।
মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, তদন্ত চলছে। সিবিআই দেখছে। রাজ্য সমস্তরকম সহযোগিতা করেছে।
দ্বিতীয় দাবি, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের অপসারণ।
মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানালেন, নারায়ণস্বরূপ নিগমকে নিয়ে কোনও কথা শুনবেন না তিনি। বললেন, “অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে অভিযুক্ত বলা যায় না।” বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বাদানুবাদের পরিস্থিতি তৈরি হয়।
তৃতীয় দাবি, কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালু।
মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানালেন, পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়েছে।
চতুর্থ দাবি, কেন্দ্রীয়ভাবে সব হাসপাতালের ফাঁকা বেডের খতিয়ান দেওয়া।
মুখ্যসচিব জানালেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সমস্ত হাসপাতালে চালু হয়ে যাবে।
পঞ্চম দাবি, হাসপাতাল সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগে আপত্তি।
মুখ্যমন্ত্রী: সিভিক ভলান্টিয়ারের বদলে রাজ্য সরকারি হাসপাতালগুলিতে পুলিশ মোতায়েনের ক্ষেত্রে মূল বাধা ওবিসি কাঁটা। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। চিকিৎসকদেরও আদালতে সওয়াল করার দাবি।
ষষ্ঠ দাবি, ছাত্র সংসদ নির্বাচন।
মুখ্যমন্ত্রী: ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করানো হবে। ততদিন কলেজে-কলেজে অন্তর্বর্তী মনিটরিং কমিটি।
সপ্তম দাবি, হাসপাতালে শূন্যপদে নিয়োগ।
মুখ্যমন্ত্রী: সরকারের নিজস্ব নীতি তো থাকে কিছু। সময় লাগবে। একটা পদও যাতে শূন্য না থাকে তা দেখা হবে। আমিও চাই কাজের চাপ কমুক।
অষ্টম দাবি, থ্রেট কালচারে যুক্তদের শাস্তি।
মুখ্যমন্ত্রী ও জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে রাজ্যের টাস্ক ফোর্সকে সকলের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নবম দাবি, রাজ্যস্তরের টাস্ক ফোর্স।
মুখ্যমন্ত্রী: ১০ সদস্যের কমিটি হবে। প্রশাসনের ৫ জন। ২ জন সিনিয়র রেসিডেন্ট, ২ জন ডাক্তারি পড়ুয়া ও ১ মহিলা চিকিৎসক।
দশম দাবি, মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গ্রিভান্স সেল তৈরি।
মুখ্যমন্ত্রী: সময় লাগবে। মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা হাসপাতালগুলিতে তৈরি করে দেব।
এছাড়াও হাসপাতালে দ্রুত সিসিটিভি বসানোর কাজ শেষ করতে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।