• ১২৮ মিনিটের আলোচনায় জোর একাধিক বিষয়ে, বৈঠক থেকে বেরিয়ে আন্দোলন তোলার ঘোষণা ডাক্তারদের
    আনন্দবাজার | ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • দীর্ঘ টানাপড়েন। মেল। পাল্টা মেল। শর্ত। পাল্টা শর্ত ‘অমান্য’। অবশেষে সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের ‘শর্ত’ মেনে নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট আগেই সেখানে পৌঁছন ১৭ জন জুনিয়র চিকিৎসক। প্রবেশ করেন নবান্ন সভাঘরে। মুখ্যসচিবের তরফে জানানো হয়েছিল, ৪৫ মিনিট চলবে বৈঠক। সেই বৈঠক হল ১২৮ মিনিট ধরে। বৈঠকে উঠে এল একাধিক বিষয়। তা নিয়ে চলল কথাবার্তা। কখনও সামান্য বাদানুবাদও। শেষ পর্যন্ত অনেক বিষয়েই সহমত হল দুই পক্ষ। আন্দোলনকারীদের অনশন তুলে নেওয়ার অনুরোধও করলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও সেই বিষয়ে বৈঠকস্থলে একটি কথাও খরচ করেননি জুনিয়র ডাক্তারেরা। নবান্ন থেকে ধর্মতলার মঞ্চে ফিরে এসে ৫ অক্টোবর থেকে চলা ‘আমরণ অনশন’ প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন তাঁরা। একই সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারেরা জানিয়ে দেন, প্রশাসনের শরীরী ভাষা তাঁদের ভাল লাগেনি। কোনও সরকারি অনুরোধ বা ভয় বা চাপে এই অনশন তাঁরা প্রত্যাহার করছেন না। তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহার করছেন শুধুই আরজি করের নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মায়ের অনুরোধে। তাঁদের কথা ভেবে। এবং সাধারণ মানুষের কথা ভেবে।

    ১০ দফা দাবিতে ধর্মতলায় গত ৫ অক্টোবর থেকে ‘আমরণ অনশন’ করছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও চলছিল ‘ভুখ হরতাল’। ১০ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের অপসারণ। সোমবারের বৈঠকে যদিও মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টই জানিয়ে দেন, এই দাবি তিনি মানবেন না। জুনিয়র ডাক্তারেরা দাবি করেন, স্বাস্থ্যসচিবের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ নিয়ে কিছু ‘প্রমাণ’ তাঁদের হাতে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টই জানিয়ে দেন, কোনও মতেই নিগমকে ‘অভিযুক্ত’ বলা যাবে না। এই প্রসঙ্গে আরজি কর হাসপাতালে হুমকি দেওয়ায় অভিযুক্ত প্রায় ৫০ জনকে সাসপেন্ড করার কথাও তুলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁকে না জানিয়েই এই পদক্ষেপ করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ। এটাও এক ধরনের ‘থ্রেট কালচার’ বলেই মনে করছেন তিনি। আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো এই প্রসঙ্গে অভ্যন্তরীণ কমিটি সিদ্ধান্তের কথা তুললেও মানতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী। এই কমিটি নিয়েও দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে দু’পক্ষের। স্টেট টাস্ক ফোর্স, গ্রিভ্যান্স সেলের প্রসঙ্গ উঠেছে। বেশির ভাগ কমিটির ক্ষেত্রেই সহমত হয়েছে দু’পক্ষ। কিছু বিষয়ে সহমত হয়নি। মুখ্যসচিব আগামী মার্চের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজ কাউন্সিলে নির্বাচন করানোর আশ্বাসও দিয়েছেন। বৈঠকে যদিও মুখ্যমন্ত্রীর চা-পানের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ।

    ১০ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলায় গত ৫ অক্টোবর থেকে ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচি করছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ১০ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের অপসারণ। সেই দাবির স্বপক্ষে সোমবার নবান্ন যাওয়ার সময় কিছু ‘প্রমাণ’ সঙ্গে নিয়েছিলেন বলে দাবি করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের তরফে বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার আগে জানানো হয়েছিল, এই ‘প্রমাণ’ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেবেন তাঁরা। নবান্ন সভাঘরের বৈঠকে নিগম নিজেও হাজির ছিলেন। বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তারেরা তাঁর বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ’-এর প্রসঙ্গ তুলতেই থামিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সাফ জানান, তাঁকে ‘অভিযুক্ত’ বলা যাবে না। এক জুনিয়র ডাক্তার বৈঠক চলাকালীন বলেন, ‘‘আপনার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ রয়েছে। আপনি প্রমাণ চেয়েছেন, আমরা নিয়ে এসেছি। স্যরের হাত দিয়ে বেশ কিছু কাগজ বেরিয়েছে, যা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।’’ তাঁর কথা থামিয়েই মমতা বলে ওঠেন, ‘‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী। এত ক্ষণ চুপ ছিলাম। এখনও চুপ থাকব। কিন্তু বলতে চাই, একটা মানুষের বিরুদ্ধে প্রমাণ না পেলে তাঁকে অভিযুক্ত করা যায় না।’’ সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর কথার সূত্র ধরে আন্দোলনকারী এক মহিলা চিকিৎসক বলেন, ‘‘যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে দোষ প্রমাণের আগে তাঁকে দোষী বলা যাবে না। তবে অভিযুক্ত বলা যেতে পারে।’’ মুখ্যমন্ত্রী এই দাবি উড়িয়ে জানিয়ে দেন, কোনও মতেই স্বাস্থ্যসচিবকে ‘অভিযুক্ত’ বলা যাবে না। আর সেই সঙ্গেই তিনি এক প্রকার স্পষ্ট করে দেন যে, স্বাস্থ্যসচিবকে অপসারণের দাবি তিনি কোনও মতেই মানছেন না।

    সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর-কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের হয়ে সওয়াল করছেন আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ। তিনি শুনানিতে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার যতটা দাবি করছে, ততটাও উন্নতি হয়নি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার। নবান্নের বৈঠকে তাঁর এই দাবির প্রসঙ্গ উঠে এল মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। তিনি জানালেন, জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেছেন রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে তুলো ছাড়া কিছু পাওয়া যায় না। আর তাঁর এই দাবিতে ‘মুখ পুড়েছে’ আদতে রাজ্যেরই। এর পরেই তিনি বৈঠকে উপস্থিত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের প্রশ্ন করেন, ‘‘এটা কি ঠিক?’’

    নবান্নের বৈঠকে বার বার ফিরে এসেছে ‘থ্রেট কালচার’ প্রসঙ্গ। এই ‘থ্রেট কালচার’-এ অভিযুক্ত হিসাবে বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং অভীক দে-র নাম উল্লেখ করতে শোনা যায় জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদারকে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে থামিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘উপস্থিত নেই যখন, নাম নেবেন না। নাম নিলে তো তাঁকেও তাঁর কথা বলার জায়গা দিতে হয়।’’ প্রসঙ্গত, সরকারি হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত ওই দু’জনের বিরুদ্ধে। আরজি কর-কাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে অভীকের উপস্থিতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ ওঠে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে। তাঁদের বিরুদ্ধে বৌবাজার থানায় অভিযোগ করা হয়। দুই চিকিৎসককে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, সেখানে আর কাজ করতে পারবেন না অভীক। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক বিরূপাক্ষ এবং প্রাক্তন আরএমও অভীকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য ভবনও। দু’জনকে সাসপেন্ড করেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)।

    আরজি কর হাসপাতালে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে প্রায় ৫০ জনকে। এই প্রসঙ্গে নবান্নে সোমবারের বৈঠকে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কী ভাবে সরকারকে না-জানিয়ে এই পদক্ষেপ করা হল, তা জানতে চেয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আরজি করের প্রিন্সিপাল কেন ৪৭ জনকে সাসপেন্ড করলেন কেন? কী ভাবে নিজে সিদ্ধান্ত নিলেন? রাজ্য সরকারকে জানানোর প্রয়োজন মনে করলেন না?’’ এর পরেই আরজি করের অধ্যক্ষের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘এটা কি থ্রেট কালচার নয়? তদন্ত না করে কাউকে সাসপেন্ড করা যায় না। ইচ্ছে মতো কাজ করবেন না। কেউ কাউকে থ্রেট করবেন না। আমি ক্ষমতায় রয়েছি বলে থ্রেট করতে পারি না।’’ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের মাঝে আন্দোলনকারী অনিকেত মাহাতো জানান, আরজি কর হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ কমিটি তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার পর সাসপেন্ড করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যদিও তা মানতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘এ সব ক্ষেত্রে তদন্ত করা হবে। কোনও রকম পক্ষপাতিত্ব চলবে না। আগামী দিনে দেখা হবে বিষয়টি।’’ সরকারকে না জানিয়ে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল কী ভাবে তৈরি হল, কী ভাবে সাসপেন্ড করা হল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন মমতা।

    এর আগে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে চা-পানের অনুরোধ ফিরিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সোমবার নবান্নে আবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই অনুরোধ ফিরিয়ে দিলেন জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেন, ‘‘তোমরা চা খাবে তো?’’ জবাব না পেয়ে আবার মমতা জিজ্ঞেস করেন, ‘‘চায়েও না?’’ আন্দোলনকারীরা সেই অনুরোধ ফিরিয়ে দেন। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়, তাঁদের সহপাঠীরা অনশনে রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সেই সময় জানান, যাঁরা অনশন করছেন, তাঁদের তিনি চা-পানের কথা বলছেন না। যাঁরা অনশনে নেই, তাঁদেরই তিনি চা-পানের কথা বলেছেন। যদিও নবান্ন সভাঘরে সেই চায়ের অনুরোধ ফিরিয়ে দেন জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। এর পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, যাঁরা চা পান করতে চান, তাঁদের যেন দেওয়া হয়।

    মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকে উঠে এসেছে একের পর এক কমিটি, টাস্ক ফোর্স, গ্রিভ্যান্স সেলের কথা। জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে এ সব নিয়ে বিভিন্ন দাবি করা হয়েছে। প্রশাসন কখনও সে বিষয়ে সহমত হয়েছে। কখনও পুরোপুরি হয়নি। আন্দোলনকারীরা জানান, মনে হতে পারে, জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি করা এই কমিটি, টাস্ক ফোর্স, গ্রিভ্যান্স সেলের সঙ্গে সাধারণ রোগীর যোগ কোথায়? নবান্নে উপস্থিত জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে দাবি করা হয়, ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে যে নির্যাতনের ঘটনা হয়েছে, তা ‘প্রশাসনিক ব্যর্থতা’র কারণে। তাঁদের তরফে দেবাশিস বলেন, ‘‘আরজি কর-কাণ্ড হয়েছে প্রতিষ্ঠানিক ব্যর্থতার কারণে। আর সেই কারণেই সংস্কার প্রয়োজন, যেই সংস্কারের জন্য টাস্ক ফোর্স গঠন প্রয়োজন।’’ দেবাশিসের দাবি, স্টেট টাস্ক ফোর্সে চিকিৎসকদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। আর সেই কমিটির সদস্যদের নির্বাচনের মাধ্যমে বাছাই করতে হবে। মনোনীত সদস্য হলে চলবে না। টাস্ক ফোর্সে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি রাখার দাবিও তুলেছেন তিনি। রোগীর পরিজনকে রাখার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী তখন বলেন, ‘‘আমি কী করে করব এটা? এখন যে পরিস্থিতির মধ্যে তোমরা আছ, তাতে এখন তোমরা যা বলবে, সিনিয়র ডাক্তারেরা তাই করবেন। আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দাও। তার পরে আমরা তাঁদের সাজেশন চাইব। অধ্যক্ষ সেটা রেকমেন্ড করে আমাদের পাঠাবে।’’ যদিও মুখ্যসচিব এই বিষয়ে কী কী কাজ এগিয়েছে, তার খতিয়ান তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা স্টেট লেভেল টাস্ক ফোর্স করেছি। গ্রিভ্যান্স রিড্রেসল সেল গঠন করা হয়েছে। ইমেল আইডি দিয়েছি, যেখানে অভিযোগ জানাতে পারবেন।’’

    রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রীরা, মহিলা চিকিৎসকেরা হেনস্থার শিকার হন বলে নবান্নের বৈঠকে দাবি করেছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসক অনিকেত। বৈঠকে বার বার তিনি দাবি করেছেন, মেডিক্যাল কলেজে কী ভাবে ‘হুমকি সংস্কৃতি’ চলে, কী ভাবে জোর করে চাঁদা আদায় করা হয়, তিনি বলেন, ‘‘আরজি করের মতো দ্বিতীয় ঘটনা যাতে না হয়, তা দেখা হোক। মেয়েদের নিরাপত্তার জায়গাটা দেখা হোক।’’ তাঁর দাবি, ‘থ্রেট কালচার’-এর পাশাপাশি ছাত্রীদের যৌন হেনস্থাও চলে। আর এই নিয়ে অভিযোগ করাও যায় না। তাঁর কথায়, ‘‘এই নিয়ে অভিযোগ করার জায়গা নেই।’’ ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে অশান্তির ঘটনার প্রসঙ্গ তুলেছেন অনিকেত। তিনি বলেন, ‘‘সেখানে অধ্যক্ষের ঘরে তালা ঝোলানো হয়েছে। তা হলে কোথায় সুরক্ষা?’’ তিনি এ-ও দাবি করেছেন, মহিলা চিকিৎসকদের এই ‘যন্ত্রণা’ কমিটি দিয়ে প্রশমিত করা যাবে না। ডায়মন্ড হারবারের হাসপাতালে অশান্তি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মতামত জানতে চান আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার কিঞ্জল নন্দ।

    নবান্নের বৈঠকে উঠে এসেছে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ কাউন্সিলের নির্বাচনের প্রসঙ্গ। দেবাশিস বলেন, ‘‘নির্বাচন যত দিন না হচ্ছে, তত দিন অন্তর্বর্তী এক ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে।’’ তবে তিনি এ-ও জানিয়ে দেন, যত দিন নির্বাচন না হচ্ছে, তত দিন কাউন্সিলের কমিটিতে তাঁরা (আন্দোলনকারী)-ই থাকবেন, এমনটাও যাতে ভাবা না হয়। বৈঠকে মুখ্যসচিব পন্থ আশ্বাস দিয়েছেন, ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যেই রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ কাউন্সিলের নির্বাচন হবে।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)