দাদা-ভাই মিলে ছাড়ব, জেলা সভাপতির পদ ছাড়তে চান অনুব্রত, তিহাড় থেকে ফিরে হল কী!
হিন্দুস্তান টাইমস | ২২ অক্টোবর ২০২৪
তিহাড় থেকে ফিরে এসেছেন অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত কেষ্ট মণ্ডল। ইতিমধ্যেই বীরভূমের জেলা সভাপতি হিসাবে তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও নেমে পড়েছেন। তবে সেই আগের দাপট যেন আর নেই। এদিকে এবার তিনি যে ইঙ্গিত দিলেন তাতে পরিষ্কার তিনি জেলা সভাপতির পদ থেকে সরে যেতে চান। তবে সেটা এখনই নয়।
সোমবার সিউড়ির পুরন্দরপুর এলাকায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি তাঁরই ঘনিষ্ঠ নুরুল ইসলামের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। অনুব্রত বলেন, নুরুল খুব ভালো ছেলে। আমরা একসাথে রাজনীতি করেছি। একসাথে কাজ করেছি। আমি নুরুলকে বলব এখনই পদ না ছাড়ার কথা। আরেকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে মুখ্যমন্ত্রী করে দেওয়ার পরে ছাড়তে হলে একসাথে দুই দাদা ভাই মিলে ছাড়ব।
নুরুল ইসলাম সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি। এদিকে চলতি বছরের জুলাই মাসে তিনি পদ ছাড়তে চেয়ে ওপরমহলে চিঠি দিয়েছিলেন। তারপর এনিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। কেন তিনি আচমকা পদ ছাড়তে চাইলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে। সেই সময় বিরোধীরা দাবি করেছিলেন যে তাঁর নামে ভুয়ো অ্য়াকাউন্টের সন্ধান পেয়েছিল সিবিআই। সেই আতঙ্কেই পদ ছেড়ে নতুন প্রজন্মের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে চেয়েছিলেন নুরুল।
তবে এবার সেই নুরুলকে পদ ছাড়তে বারণ করলেন অনুব্রত। সেই সঙ্গেই নিজেও যাতে আগামী দিনে পদ ছাড়তে পারেন সেই ইঙ্গিতটাও দিয়ে রাখলেন। সব মিলিয়ে অনুব্রতকে ছাড়া দল কীভাবে চলবে তা নিয়েও প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
বিগত দিনে বীরভূমের দাপুটে নেতা হিসাবেই পরিচিত ছিলেন অনুব্রত। তবে গরু পাচারের অভিযোগে তিহাড়ে যাওয়ার পর থেকেই বীরভূমের তৃণমূলের দাপট কমতে থাকে। সেই চড়াম চড়াম, গুড় বাতাসার সংস্কৃতি ধীরে ধীরে সরে যেতে থাকে। তবে ফের বীরভূমে ফিরে এসেছেন অনুব্রত মণ্ডল।
এবার সেই অনুব্রতর মুখে একেবারে অন্য সুর। তিনি এবার পদ ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন। তবে সেটা এখনই নয়। ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের পরে মমতা ফের মুখ্য়মন্ত্রী হওয়ার পরে তিনি পদ ছাড়লেও ছাড়তে পারেন।
তবে এবার বীরভূমে ফেরার পর থেকেই দলের নানা দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। ফের কাজল শেখ বনাম কেষ্ট মণ্ডলের দ্বন্দ্ব সামনে আসছে। তবে অনুব্রতর মুখে অবশ্য এখন শান্তির বাণী।