আর কত কথা বলবে বাবা? মিটিংয়ে সিঙ্গুর প্রসঙ্গ তুললেন মমতা, জবাব দিলেন ডাক্তাররা
হিন্দুস্তান টাইমস | ২২ অক্টোবর ২০২৪
আর কত কথা বলবে বাবা? মিটিং শেষের মুখে দৃশ্যতই বিরক্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, ৪৫ মিনিট সময় দেওয়া ছিল। সেটা ২ ঘণ্টা হয়ে গেল। একটা পরিবার আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। সেটা তোমরা বোঝ। বার বার মোবাইল দেখা শুরু করেন মমতা।
তিনি বলেন, সিঙ্গুর নিয়ে ২৬ দিন অনশন করেছিলাম। গোপাল গান্ধী এসেছিলেন। মহাশ্বেতা দেবী সহ অন্য়ান্যরা এসেছিলেন। তোমাদের আমরা ভালোবাসি, আমি অনেক আন্দোলন থেকে উঠে এসেছি। তোমরা তোমাদের কথা মন খুলে বলার সুযোগ পেয়েছ। আমার জন্য কেউ কিছু করেনি। আমাকে খালি বলেছিল প্রত্যাহার কর। আর কিছু বলেনি।
তখনই এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, আমরা আমাদের কথা তো বলবই ম্যাডাম।
রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্য়াসোসিয়েশন প্রসঙ্গ উঠতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেওয়া যাবে না বাবা। অনুমোদনও নেই। এরপর জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, তাহলে নির্বাচন কীভাবে হবে?
মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, আমরা যতটা বলার বললাম।
এদিকে সরকারের তরফে বার বারই বলা হয় যে স্টেট লেভেল টাস্ক ফোর্স আর রোগী কল্যাণ সমিতি এই দুটো থাকবে।
মুখ্য়মন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, কটা কমিটি হবে?
এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, ধরুন কলেজে কাউকে Ragging করা হল তবে সেটা কারা দেখবে? অ্যান্টি Ragging কমিটি নাকি স্টেট লেভেল টাস্ক ফোর্স?
সেই প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, কলেজে তো অ্যান্টি Ragging কমিটি আছে। তারা দেখবে।
তখন এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, আসলে কমিউনিকেশন গ্যাপ রয়েছে। কলেজে যে অ্যান্টি Ragging কমিটি ছিল সেগুলি আদৌ কার্যকরী নয়। কারণ সেগুলি নামে আছে। কিন্তু সেখানে যারা রয়েছেন তারা পাশ করে বেরিয়ে গিয়েছেন। সেক্ষেত্রে সেই অ্যান্টি Ragging কমিটির আর কোনও অস্তিত্ব নেই।
কার্যত একেবারে পয়েন্ট ধরে ধরে জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের বিষয়বস্তুগুলি তুলে ধরেন। কার্যত রাজ্য সরকার যখন একাধিক বিষয়কে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তখন পালটা জুনিয়র ডাক্তাররা টক্কর দেন। কার্যত জানিয়ে দেন কীভাবে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচার চলে। কীভাবে মেডিক্যাল কলেজে তোলাবাজি চলে। কীভাবে চলে চোখ রাঙানি। কীভাবে চলে দুর্নীতি। সবটাই জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন কারোর নাম করবেন না। এখানেই সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, তবে কি এখনও কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করছে সরকার?