• রামপুরহাটে ওষুধ পোড়ানোর ৪৮ ঘণ্টা পরও ধরা পড়ল না কেউ
    বর্তমান | ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, রামপুরহাট: রোগীদের জন্য সরকারের বরাদ্দ নামীদামি ওষুধ পোড়ানোর ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর নড়েচড়ে বসলেন রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার কর্তারা। কে বা কারা কোন হাসপাতালের বরাদ্দ ওষুধ পুড়িয়েছে, তা নিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরের অন্দরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ‘বর্তমান’ পত্রিকাই রবিবার খবরটি প্রথম প্রকাশ করে। জাতীয় সড়কের ধারে যেখানে ওষুধ পোড়ানো হয়েছে, সোমবার দুপুরে সেই এলাকায় ডেপুটি সিএমওএইচ-১ অমিতাভ সাহা সহ অন্য স্বাস্থ্যকর্তারা উপস্থিত হন। তাঁরা ওই জায়গা থেকে বেশ কিছু আধপোড়া ওষুধ সংগ্রহ করেন।

    শনিবার সকালে তারাপীঠ রোড স্টেশনে ঢোকার আগে রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ওই পোড়া ওষুধ দেখতে পান প্রাতঃভ্রমণকারীরা। তেনেচোরা কাঁদরের পাশে ওই সমস্ত ওষুধের মধ্যে যেগুলি আধপোড়া ছিল, সেগুলির গায়ে সরবরাহকারী হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার লেখা। উৎপাদনের তারিখ ৪/২৩, মেয়াদ ৩/২৫ অবধি। সেইসঙ্গে ওই ওষুধে ‘নট ফর সেল’ লেখা ছিল। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি সরকারি হাসপাতাল বলতে চাকপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র। তারা অবশ্য দাবি করেছে, ওই ওষুধ তাদের নয়।

    রবিবার ‘বর্তমান’ পত্রিকায় খবরটি প্রকাশিত হয়। সোমবার অফিস খুলতেই স্বাস্থ্যজেলার কর্তারা নড়েচড়ে বসেন। তবে পোড়া ওষুধ উদ্ধারের ৪৮ ঘণ্টা পরও কোন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই সরকারি ওষুধ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে, তা চিহ্নিত করতে না পারায় এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছেন। তাঁরা ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি তুলেছেন। স্থানীয়রা বলেন, অভয়ার বিচার, নিজেদের নিরাপত্তা সহ একাধিক দাবিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা কার্যত অচল করে আন্দোলন চালাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। অথচ স্বাস্থ্যদপ্তরেরই মেয়াদ উত্তীর্ণ না হওয়া ওষুধ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার পরও ঘটনায় কোনও দোষীর হদিশ পেল না ওই দপ্তর। আমরা যেমন অভয়ার ঘটনার বিচার চাই, তেমনি ওষুধ পোড়ানোর ঘটনারও বিচার চাই। অমিতাভবাবু বলেন, শুধু ওই জায়গা নয়, আশপাশেও কিছু ওষুধপত্র পড়ে রয়েছে। তার মধ্যে কিছু ওষুধের মেয়াদ শেষ হয়নি। রাজ্য থেকে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগে আসা ওষুধ ব্লক হাসপাতাল ও পরে নানা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যায়। পোড়ানো ওষুধের সঙ্গে কিছু নথিও উদ্ধার হয়েছে। সেটা দেখেই কোন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওই ওষুধ পাঠানো হয়েছিল-সেটা দেখা হচ্ছে। এরপরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বাস্থ্য কর্তা বলেন, উদ্ধার হওয়া ওষুধ ও নথি থেকে একটা ‘ক্লু’ পাওয়া গিয়েছে। সেটা ভালোভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  
  • Link to this news (বর্তমান)