• পুজো মিটলেও শহরজুড়ে থাকা তোরণগুলি খোলা হয়নি, ক্ষোভ
    বর্তমান | ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: পুজো মিটেছে। শুরু হয়েছে কালীপুজোর মণ্ডপ তৈরির কাজ। কিন্তু এখনও রায়গঞ্জ শহরজুড়ে দুর্গাপুজোর বিশালাকার তোরণগুলি খোলা হয়নি। এনিয়ে মানুষের মধ্যে ক্রমে অসন্তোষ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। কেউ কেউ আবার এব্যাপারে রায়গঞ্জ পুরসভার উদাসীনতারও অভিযোগ তুলেছেন। যদিও পুর কর্তৃপক্ষের জানিয়েছে, এনিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে।

    অভিযোগ, শহরের বিদ্রোহী মোড়ে রাস্তার উপর দু’টি বিশালাকার তোরণ এখনও রয়ে গিয়েছে। এছাড়াও রাস্তার ধার দিয়ে বেশকিছু ছোট ছোট লাইটের গেট রয়েছে। একই অবস্থা রাসবিহারী মার্কেটের সামনের রাস্তারও। আবার আশা টকিজ মোড়ে দু’টি বড় তোরণ রয়েছে। গোশালা বাজার সুদর্শনপুর এলাকায় শিলিগুড়ি মোড়ের সামনে বিশালাকার তোরণ সহ রাস্তার উপর অন্তত সাত থেকে দশটি তোরণ খোলা হয়নি। বাঁশের খাঁচাগুলি রয়ে গিয়েছে। শিলিগুড়ি মোড়ের কাছে পুরনো জাতীয় সড়কে রাস্তার উপর বাঁশের তৈরি তোরণ এখনও খোলা হয়নি। 

    রায়গঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অতনু বন্ধু লাহিড়ি বলেন, শহরের রাস্তা এমনিতেই সংকীর্ণ। যানজট হয়। তার উপর যদি রাস্তার উপর তৈরি তোরণ খোলা না হয় তাতে মানুষের অসুবিধা। দৃষ্টিদূষণও হয়। শহরবাসীর সুবিধার্থে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রাস্তার উপর থাকা তোরণ দ্রুত খুলে দেওয়ার দরকার বলে মনেকরি।

    শহরের কংগ্রেস নেতা তুষার কান্তি গুহ বলেন, পুরসভা উদাসীন বলেই এই ধরনের সমস্যা। পুজো মিটে যাওয়ার পর দ্রুত তোরণগুলি খুলে ফেলে উচিত। আবার কিছু ক্ষেত্রে প্যান্ডেলওয়ালারাও সুযোগ নেয়। ওদের বাঁশ রাখার জায়গা কম থাকলে, অনেক সময় পরবর্তী বরাত না পাওয়া পর্যন্ত রাস্তাজুড়ে তোরণগুলি রেখে দেয়। বরাত এলেই খুলে নেয়। যদিও উত্তর দিনাজপুর ডেকরেটর্স সমবায় সমিতির সভাপতি রণজিৎ কুমার রায় বলেন, দুর্গাপুজোর পর কেন সমস্ত তোরণ এখনও কেন খোলা হয়নি, জানি না। তবে বেশকিছু তোরণ খোলার কাজ শুরু হয়েছে। কিছু খুলে ফেলা হয়েছে। 

    রায়গঞ্জ পুরসভার প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, পুজোর প্রস্তুতি বৈঠকে সমস্ত পুজো উদ্যোক্তাদের বলেছিলাম, পুজো মিটলেই যেন মূল রাস্তার উপর বাঁশের গেটগুলি খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু এখনও কেন খোলেনি, তা নিয়ে পুরসভা খোঁজ নিচ্ছে। আমরা এনিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। 
  • Link to this news (বর্তমান)