• বারাসতে কালীপুজো: কৈলাস-মানস সরোবর আমরা সবাইয়ের থিমে, সন্ধানীর ভাবনায় রাশিয়ান মনুমেন্ট
    বর্তমান | ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: শুরু হয়ে গিয়েছে কালীপুজোর কাউন্টডাউন। বারাসতে জোরকদমে চলছে কালীপুজোর প্রস্তুতি। একাধিক বিগ বাজেটের পুজো রয়েছে শহরে। এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায়। আবহাওয়া কাজের গতিতে কিছুটা ধাক্কা দিলেও শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে খামতি রাখছেন না কোনও উদ্যোক্তা।

    বারাসতে বড়ো পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম আমরা সবাই ক্লাবের পুজো। এবার তাদের প্যান্ডেলের থিম তিব্বতের কৈলাস ও মানস সরোবর। মণ্ডপের সামনেটা একরকম আর ভিতরটা সম্পূর্ণ আলাদাভাবে তৈরি হচ্ছে। সামনে থাকবে সরোবর। আলোর মাধ্যমে তাতে কেউ কেউ স্নান করছেন, তাও তুলে ধরা হবে। এরপর সেখান থেকে লাইটিংয়ের মাধ্যমে কেউ কেউ কৈলাসে প্রবেশ করছেন, তা দেখানো হবে। মণ্ডপের ভিতরে প্রবেশ করলেই এক টুকরো স্বর্গ পাওয়া যাবে। রকমারি আলোর মাধ্যমে সেই স্বর্গের মধ্যে শক্তির দেবী কালীকে দেখতে পাবেন দর্শনার্থীরা। বাইরে থেকে আলোর মাধ্যমে কৈলাস পর্বতের বিভিন্ন রূপ তুলে ধরা হবে। ভোরে সূর্য উঠলে কৈলাসকে যেমন দেখতে লাগে তার হদিশ মিলবে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের আলোয় পাহাড়ের বিভিন্ন রূপ তুলে ধরা হবে। আর চাঁদনি রাতে পাহাড়ের রূপ কেমন, তাও দেখবেন সকলে। সবটাই করা হবে আলোর কারসাজিতে। আশেপাশে থাকবে বিভিন্ন মডেল। এক উদ্যোক্তা অরুণ ভৌমিক বলেন, প্যান্ডেলের উচ্চতা ৮৭ ফুট। গত ১১ আগস্ট কাজ শুরু হয়েছে। চট, বাঁশ, ফাইবার দিয়ে তৈরি হচ্ছে কৈলাস। সঙ্গে রঙের ব্যবহার। এবার বাজেট প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। দর্শনার্থীরা চমকে যাবেন মণ্ডপের বাইরে ও ভিতরটা দেখে। প্রতিমার ক্ষেত্রেও রয়েছে বিশেষত্ব। প্যান্ডেলে মা কালী বসে থাকবেন ১৮ ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের উপর। দেবীর উচ্চতা ১৫ ফুট।

    বারাসতের সন্ধানী ক্লাব রাশিয়ান মনুমেন্টের আদলে তৈরি করছে প্যান্ডেল। ৬৫ তম বর্ষে তাদের থিম রাশিয়ার ‘মিখাইল আরখেঙ্গল মনুমেন্ট’। মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে ফাইবার দিয়ে। উচ্চতা ৮০ ফুট। পাশাপাশি ৮১ ফুট চওড়া। প্রতিবছরই সন্ধানী ক্লাব নিত্যনতুন থিমের চমক দেয়। রাশিয়ান এই মনুমেন্টের আশেপাশে আছে বিভিন্ন ধরনের গাছ। আর বারাসতের সন্ধানি ক্লাবও রাশিয়া সেই মনুমেন্টের আদলে চারপাশে রাখবে রকমারি গাছ। শুধু তাই নয়, থাকছে রঙিন ফোয়ারা। এবার সন্ধানী ক্লাবের পুজোর বাজেট কুড়ি লক্ষ টাকা। পুজো কমিটির সভাপতি অভিজিৎ নাগচৌধুরী বলেন, মধ্যবিত্ত বা গরিব মানুষের ক্ষমতা হয় না রাশিয়ায় গিয়ে এই মনুমেন্ট দেখার। তাঁদের সেটা দেখাতেই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। মণ্ডপে আলোকসজ্জা অন্যরকম থাকছে। ইন্টারনেটে এই মনুমেন্ট সার্চ করে দেখলে আশেপাশে যা থাকে, আমাদের প্যান্ডেলেও তাই থাকবে। পুজোর পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও আমাদের চমক থাকছে।
  • Link to this news (বর্তমান)