• ম্লান হতে চলেছে আলোর উৎসব ১৫ শতাংশ দাম বাড়ছে বাজির
    বর্তমান | ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ওষুধ, সব্জি, তেল, চাল ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম হু হু করে বেড়েছে। কালীপুজোর বাজারে আতসবাজি কেন দৌড়ে পিছিয়ে থাকবে? ফলে দাম বাড়ছে তারও। এক ধাক্কায় ১৫ শতাংশ দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা আলোর উৎসব ফিকে করে দিতে শুরু করেছে তাল ঠোকা।

    আতসবাজি ব্যবসায়ী সূত্রে খবর, এবছর বঙ্গে প্রস্তুত হওয়া এবং শিবকাশিতে তৈরি হওয়া বাজির দাম বাড়তে চলেছে। ২৭ অক্টোবর থেকে ময়দানে বসতে চলেছে বাজি বাজার। সেখানে প্রায় ৪০টি দোকান বসবে। সবকটি দোকান বিক্রি করবে সবুজ বাজি। আর সব জায়গাতেই অন্যান্য বছরের তুলনায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি দামে কিনতে হবে বাজি। বড়বাজার ফায়ারওয়ার্কস ডিলার্স অ্যাসোশিয়েসনের পক্ষ থেকে ধ্রুব নারুলা বললেন, ‘কাঁচামালের দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। তাছাড়া বেশ কয়েকদিন আবহাওয়াও খারাপ ছিল। আবার এই বছর ভোটও হয়েছে। এইসব কারণে মার খেয়েছে বাজি উত্পাদন। ফলে বাজির দাম খানিকটা বেশি হয়েছে এবার।’

    দীপাবলি আসতে আর দিন দশেক বাকি। ময়দানে বাজি বাজার বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ২৫ তারিখ থেকে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুরু হতে হতে ২৭ তারিখ হয়ে যাবে। এর মাঝে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে আশঙ্কার খবর, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে শহর কলকাতায়। ফলে কালীপুজোর আগেই শহরে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হওয়ার শঙ্কা। তা হলে বাজির ব্যবসায় তার আঁচ পড়বে। চিন্তার সেই ভাঁজ ব্যবসায়ীদের কপালে ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে। যদি সত্যিই ভারী বৃষ্টি হয় তাহলে বাজি বিক্রি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রবিবারই কল্যাণীর বাজি ব্যবসায়ীরা এবছর বাজার খারাপ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। কাঁচামালের দাম বেড়েছে বলে বাজি উৎপাদন কম করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছিলেন। এবার খোদ কলকাতাও বাজির বাজার নিয়ে শঙ্কা জানাল।

    অন্যান্য বছরের মতোই এ বছরও শিবকাশির বাজিই বাজার মাতাবে বলে মনে করছেন কলকাতার ব্যবসায়ীরা। সেখানে তৈরি নানা রকমের আতসবাজিতে ছেয়ে যাবে বাজার। হেলিকপ্টার, ড্রোন, স্পিনারের মতো আধুনিক বাজি থাকবে। এই ধরনের বাজির দাম এমনিতেই অনেকটা উপরের দিকে থাকে। এ বছর দাম আরও বাড়বে। আর চড়চড় করে দাম বাড়লে মানুষ কিনবেন কম। এছাড়াও চিন্তা ঘূর্ণিঝড় নিয়ে। এই দুই কারণে ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। যদিও ঘূর্ণিঝড় মাথার উপর ঘুরলেও বাড়িতে বাজি ফাটবে না, এরকম একেবারেই ভাবতে নারাজ সৌম্য সরকার নামে এক ক্রেতা। সোমবার বড়বাজারে বাজি কিনতে গিয়ে বৃষ্টির জন্য মন খারাপের কথা ব্যক্ত করে সৌম্যবাবু বলেন, ‘আমরা ছোটবেলায় এই দিনটি আসার জন্য সারাবছর অপেক্ষা করতাম, বাবা কবে বাজি কিনে নিয়ে আসবে। এই অভিজ্ঞতা আমি আমার ছেলেকেও দিতে চাই।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)