• পরীক্ষার খাতা চেক করলে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে, বললেন মমতা, অনিকেতরা বললেন করুন না
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • মেডিক্যাল পরীক্ষার উত্তরপত্রের পুুনর্মূল্যায়ন করলে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই প্রস্তাবে তৎক্ষণাৎ রাজি হয়ে গেলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার নবান্নের বৈঠক থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা সরাসরি জানালেন, তাঁরা চান যে রাজ্য সরকার মেডিক্যাল পরীক্ষার উত্তরপত্রের পুুনর্মূল্যায়ন করানো হোক। তাহলেই দুর্নীতির ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। এমনকী থ্রেট কালচার চালানোর অভিযোগে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল থেকে যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁদের উত্তরপত্র পুুনর্মূল্যায়ন করা হলে দেখা যাবে যে পাশ করা দূর অস্ত, ১০ শতাংশও নম্বর পাননি পরীক্ষায়। অথচ তাঁদেরই গোল্ড মেডেল দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    আর তাঁরা সেই প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনে। নবান্নে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয় এক্সামিনেশন ব্যাপারটা....আমি স্বাস্থ্য দফতর এবং মুখ্যসচিবকে বলব....বিশেষত মুখ্যসচিবকে বলব। পরীক্ষা হবে একদম স্বচ্ছভাবে। কেউ যাতে কোনও ঘাড় ঘোরাতে না পারে, সেটা দেখতে হবে।’

    সেইসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমাদের অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। কিন্তু আমি যদি দু'তিন বছরের খাতা খুলি, আমি কোনও সেন্ট্রাল এজেন্সি দিয়ে , আমাদের রাজ্য সরকারের কোনও এজেন্সি দেব না। আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও এজেন্সি দিয়ে আবার প্রত্যেকটা খাতা চেক করি, তাতে মনে রাখবেন অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে। অভিযোগের পর অভিযোগ বেরিয়ে আসবে। যা হয়ে গিয়েছে……।'

    আর সেই কথা শুনেই জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, ‘ম্যাডাম অবশ্যই চাই।’ তাতে পালটা মমতা বলেন, ‘সবাই তো চায় না।’ দেবাশিস হালদার, অনিকেত মাহাতোর মতো জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’-রা একেবারে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, ‘ম্যাম, এটা চাই আমরা। একদম চাই ম্যাম। একদম স্বচ্ছভাবে হওয়া উচিত। একদম পরিষ্কার হোক, সেটা চাই আমরা।’

    সেখানেই থামেননি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তৃতীয় বর্ষের পিজিটি অনিকেত। তিনি বলেন, ‘রাগ করবেন না ম্যাডাম। যে ৫৯ জনের কথা বলা হচ্ছে, আপনি যদি তাঁদের খাতা দেখেন, তাঁরা গোল্ড মেডেল পেয়ে গিয়েছেন।’ সেটার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী জানান যে তদন্ত করা হবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)