ঘটনাটি ঠিক কী? আরজি করে 'থ্রেট কালচার'। তদন্ত শুরু করে স্পেশাল কলেজ কাউন্সিল। এরপর বিজ্ঞপ্তি জারি করে ৪৭ জন চিকিত্সককে বহিষ্কার সিদ্ধান্ত নেয় কাউন্সিল। যাঁদের বহিষ্কার করা হয়, পাল্টা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। আজ, মঙ্গলবার মামলাটির শুনানি হয় হাইকোর্টের বিচারপতি বিচারপতি কৌশিক চন্দের অবসরকালীন বেঞ্চে।
অভিযোগ, কেন সাসপেন্ড করা হয়েছে, তা তাঁদের জানানো হয়নি। শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, 'রেসিডেন্ট ডাক্তারদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল। আমাদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ করেছে। যৌন হেনস্থার অভিযোগ আছে। যাদের মধ্যে দুব্জন মহিলা আছেন। অভিযোগের কপি দেওয়া হয়নি। ৯ তারিখে একটি নোটিস দিয়ে জানানো হয় কলেজে আসতে পারব না। ৪৭ জন চিকিত্সক সাসপেন্ড'। আর জি করের তরফে আইনজীবীর সওয়াল, 'ইনক্যুরি কমিটির করা হয়েছে। যার মাথায় আছেন প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি। ইনকুয়েরি কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়নি, সুপারিশ করেছিল'।
এদিকে গতকাল সোমবার নবান্নে জুনিয়র ডাক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকেও সাসপেনশন প্রসঙ্গে ওঠে। আরজি মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষের কাছে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, 'কার অনুমতি নিয়ে ৪৭ জনকে সাসপেন্ড করেছেন'? সঙ্গে প্রশ্ন, 'এই ঘটনাকে কেন থ্রেট কালচার বলা যাবে না'? মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, 'এই সিদ্ধান্ত তাঁর সরকারকে জানানো হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, এ ধরনের বিষয় সরকারকে জানানো কর্তব্য'।