সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আর জি করের ভুরিভুরি দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। যার তদন্তে নেমে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তারও করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার দুর্নীতির বিস্তারিত তথ্য মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের অভিযোগ, সবটা জেনেও কোনও পদক্ষেপ করেনি স্বাস্থ্যদপ্তর।
অভয়া কাণ্ডের পরই আর জি করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হন জুনিয়র ডাক্তাররা। টেন্ডারে অনিয়ম, যন্ত্রপাতি কেনা থেকে পার্কিং, সর্বত্র কাটমানি নেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগ করেন তাঁরা। যা নাকি কয়েকগুণ বেড়েছিল করোনা কালে। হাসপাতালের সোফার বরাত দেওয়া হয়েছিল ওষুধ কোম্পানিকে। ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার মেশিন নাকি কেনা হয়েছে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায়। এখানেই শেষ নয়, মৃতদেহ নিয়ে ব্যবসার অভিযোগও উঠেছে। প্রমাণ হিসেবে সোমবার নবান্নে এই সংক্রান্ত নথি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। জানা গিয়েছে, ১৩৭ পাতার এই নথির ছত্রে ছত্রে বর্ণনা করা হয়েছে, কীভাবে সন্দীপ ঘোষ দাপট দেখাতেন আর জি করে।
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয় তরুণী চিকিৎসককে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করে। গত ১৩ আগস্ট কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। আর জি করের দুর্নীতি মামলারও তদন্ত শুরু হয়। গ্রেপ্তার করা হয় সন্দীপ ঘোষকে। এবার সন্দীপের ‘দুর্নীতি’র লিখিত অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।