• কার্তিক পুজোর আগে বড় ক্ষতি হবে না তো?‌ ঘূর্ণিঝড় ‘‌দানা’‌ আতঙ্কে বাঁশবেড়িয়া
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • আজ, মঙ্গলবার থেকে জেলায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কারণ ঘূর্ণিঝড় ‘‌দানা’‌ ভাল প্রভাব ফেলবে দু’‌দিন বাংলায়। যেদিন ঘূর্ণিঝড় বাংলার উপর দিয়ে বয়ে যাবে সেদিন, আর তার পরের দিন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার বাংলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে গাছ উপড়ে পড়তে পারে। জল জমে সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর তার জেরে জেলায় ভাল প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলিতে প্রভাব পড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কিন্তু এখন বাঁশবেড়িয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে কার্তিক পুজোর প্রস্তুতি। সেখানে কি প্রভাব পড়বে ঘূর্ণিঝড়ের?‌ প্রশ্ন উদ্যোক্তা–সহ সাধারণ মানুষের।

    এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র দাপটে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দু’দিনই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস। এই বিষয়টি নিয়ে এখন তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে পথঘাটে। ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় সমস্ত দিক থেকে প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। এই কথা জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে কার্তিক পুজো উদ্যোক্তারা বেশ চাপে আছেন। বাঁশবেড়িয়ায় কার্তিক পুজো ঐতিহ্যবাহী। আর এখানে বহু পুজো শতাব্দী প্রাচীন। বাঁশবেড়িয়ার কেন্দ্রীয় কার্তিক পুজো কমিটি সূত্রে খবর, এবার কমিটিতে নথিভুক্ত ৬৩ কার্তিক পুজোর আয়োজন হয়েছে। কিন্তু তার আগে যদি ঘূর্ণিঝড় ‘‌দানা’‌ দাপট দেখিয়ে দেয় তাহলে পুজোর আগে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।

    অন্যদিকে বাঁশবেড়িয়ার বাতিস্তম্ভগুলির হাল খতিয়ে দেখা শুরু হয়ে গিয়েছে। যাতে কোথাও বিদ্যুতের তার সেখান থেকে বেরিয়ে না থাকে। আর্থিং সর্বত্র ঠিক আছে কিনা সেগুলিও দেখে নেওয়া হচ্ছে। যাতে কারেন্ট লেগে প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে। ভারী বৃষ্টি জেরে জল জমার আশঙ্কা রয়েছে। কার্তিক পুজো শুরু হচ্ছে ১৬ নভেম্বর। শোভাযাত্রা হবে ১৯ নভেম্বর। হাতে সময় আছে অনেকটা ঠিকই, কিন্তু তার আগে ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে লণ্ডভণ্ড হয়ে যেতে পারে হুগলি জেলা। কার্তিক পুজোর প্রস্তুতির ভয়ানক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেই ক্ষতি সারিয়ে আবার নতুন করে পুজোর প্রস্তুতি কতটা সম্ভব তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী বলেন, ‘কার্তিক পুজোর আয়োজন নিয়ে বৈঠক হয়েছে। নিরাপত্তার যাবতীয় আয়োজন হবে। বাঁশবেড়িয়াতে জলপথে প্রচুর মানুষ আসেন। তাই জলপথেও পুলিশের নজরদারি থাকবে। পুরসভা প্রয়োজনীয় সাহায্য করবে।’‌

    এই ঘূর্ণিঝড় ‘‌দানা’‌ নিয়ে কয়েকজন পুজো উদ্যোক্তা জানান, ঘূর্ণিঝড়ে যদি ক্ষতি হয় তাহলে তার প্রভাব কার্তিক পুজোর উপর পড়বে। বিপদ কতটা আসে সেটা এখন দেখার বিষয়। ভারী ঝড়বৃষ্টি হলে পুজো প্রস্তুতির ক্ষতি হবে অনেকটা। বাঁশবেড়িয়া সপ্তগ্রাম বিধানসভার অন্তর্গত। আর এখানকার বিধায়ক তপন দাশগুপ্তর বক্তব্য, ‘বাঁশবেড়িয়াতে কার্তিক পুজো একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। তাতে মানুষের আবেগ জড়িয়ে থাকে। তাই শোভাযাত্রার রাস্তা সংস্কার করা, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা এবং নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সবরকম সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)