আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। কংগ্রেস ছাড়া সকলেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে। কিন্তু এই উপনির্বাচনেও বিজেপির ফল নিয়ে দলের নেতারাই যথেষ্ট সন্দিহান। কেন্দ্রীয় নেতারা তা বুঝিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। এই আবহে মাদারিহাট ছাড়া বাকি পাঁচ আসনে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না বঙ্গ বিজেপির নেতারা। আর তাই এই উপনির্বাচনে জোরদার লড়াই দিতে সৌমেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রাজু বিস্তা, মনোজ টিগ্গা–সহ বঙ্গ বিজেপির একঝাঁক প্রথমসারির নেতাকে ময়দানে নামাতে চলেছে তাঁরা। এই নেতাদের প্রত্যেককেই বিধানসভা ভিত্তিক ইনচার্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রে এখন মনোজ টিগ্গা প্রচার করতে নেমে পড়েছে।
কদিন আগে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নড্ডা কলকাতায় আসেন। তখন এই ভোট নিয়ে আলোচনাও হয় বলে সূত্রের খবর। তারপর সুনীল বনসলের নেতৃত্বেও সল্টলেক পার্টি অফিসে বৈঠক হয়। সেখানে এই উপনির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই দার্জিলিং লোকসভার সাংসদ রাজু বিস্তকে মাদারিহাট বিধানসভার অন্যতম ইনচার্জ করা হয়েছে। এই বিষয়ে মনোজ টিগ্গা বলেন, ‘মাদারিহাটে আমরা বহুবার জয়ী হয়েছি। এই বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হওয়া আমার কাছে সম্মানের লড়াই। এখানে রাজু বিস্তা ছাড়াও দলের দুই বিধায়ককে ইনচার্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’ সঙ্গে থাকছেন সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারী।
সৌমেন্দু অধিকারীকে দেওয়া হয়েছে মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ইনচার্জের দায়িত্ব। এখন তিনি কতটা ফসল ঘরে তুলতে পারবেন সেটাও পরখ করে দেখার বিষয়। কারণ সাংগঠনিক দক্ষতার তাতে প্রমাণ মিলবে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপি শুধুই গোহারা হয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আসন সংখ্যা ১৮ থেকে কমে ১২ হয়েছে। আর এই ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন সব কটিতেই শক্তিশালী রয়েছে। মেদিনীপুর বিধানসভায় এখন চারিদিকে ঘাসফুল। সেখানে পদ্মফুল ফোটানোই এখন সৌমেন্দু অধিকারীর কাছে চ্যালেঞ্জের।
কোচবিহারের সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন মজবুত। বিজেপি নেতা ভূষণ মোদককে এখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এবার প্রাক্তন সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভোট পরিচালনার কাজ দেখবেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর। তবে এখানের বিধায়ক পদে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর তিনিই সাংসদ পদে জয়ী হন। তাঁর স্ত্রী এবার বিধায়ক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বাঁকুড়ার তালড্যাংরা কেন্দ্রে ভোট পরিচালনার কাজ বেশিরভাগটাই প্রাক্তন সাংসদ সুভাষ সরকার দেখবেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর।