রানাঘাট ও হালিশহর পুরসভাকে চিঠি দিল সিবিআই, কলকাতা হাইকোর্টে গেলেন কুন্তল
হিন্দুস্তান টাইমস | ২২ অক্টোবর ২০২৪
দুর্গাপুজো মিটতেই সক্রিয় হয়ে উঠল সিবিআই। পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক তথ্য চেয়ে পাঠাল সিবিআই। হালিশহর ও রানাঘাট পুরসভাকে চিঠি দিয়ে সেই তথ্য চাইল সিবিআই। দুর্গাপুজোর ছুটির পর সোমবার ইমেল চেক করতে গিয়ে বিষয়টি নজরে পড়ে পুরসভা কর্তৃপক্ষের। এই চিঠি দেখে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছেন পুরসভার কর্তারা। গত শনিবার সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে ইমেল করে ওই চিঠি পাঠানো হয় এই দুই পুরসভাকে। এই আবহে এবার কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত বহিষ্কৃত তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ।
এদিকে আজ, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে জামিন মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন জানান কুন্তল ঘোষের আইনজীবী। কলকাতা হাইকোর্ট মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে। আগামী ২৫ অক্টোবর এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এবার ৩১ অক্টোবর কালীপুজো পড়েছে। তার আগে জামিন পেতে জান লাগিয়ে দিয়েছেন বহিষ্কৃত এই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। কুন্তল যখন এমন মরিয়া চেষ্টা করছেন তখন আগামী ২৪ অক্টোবর দুই পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসারকে সিবিআই দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে। আর সেই হাজিরার সময় চিঠিতে উল্লিখিত নথিও নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে হালিশহর পুরসভার প্রাক্তন এক্সিকিউটিভ অফিসারকে তথ্য নিয়ে সশরীরে হাজির হতে বলেছে সিবিআই। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই হইহই কাণ্ড শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ এই এক্সিকিউটিভ অফিসার ২০১৮–১৯ সালে হালিশহর পুরসভার নিয়োগের সময় দায়িত্বে ছিলেন। দুই পুরসভার বর্তমান এক্সিকিউটিভ অফিসারদেরও তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল অয়ন শীলকে। আর এই অয়ন শীলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল কুন্তলের বলে জানা যাচ্ছে। ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । তখন থেকে জেলে আছেন কুন্তল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টাকা আদায়ের অন্যতম মাথা ছিল কুন্তল ঘোষ বলে ইডির দাবি।
এছাড়া একাধিক পুরসভায় সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছিল। অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দফায় দফায়। হালিশহর পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান শুভঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে একটি চিঠি এসেছে ইমেলে। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত কিছু তথ্য তারা চেয়েছে। আগেও অনেক তথ্য তারা চেয়েছিল। আমরা সব তথ্য দিয়েছিলাম। তদন্তে সাহায্য করেছি। আগামী দিনেও করব।’ কুন্তলকে টাকা দিয়ে একাধিক চাকরি প্রার্থী কাজ পেয়েছিলেন বলে কেন্দ্রীয় সংস্থার অভিযোগ। আগেও কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন কুন্তল। কিন্তু তা খারিজ হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। তবে সর্বোচ্চ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্টে যেতে বলেছিল কুন্তলের আইনজীবীকে।