• ঘূর্ণিঝড় ‘‌দানা’‌ প্রভাব ফেলবে মহানগরীতে, কেমন প্রস্তুতি নিয়েছে কলকাতা পুরসভা?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • আজ, মঙ্গলবার থেকে কলকাতা পুরসভাকে আরও অ্যাক্টিভ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ ঘূর্ণিঝড় ‘‌দানা’‌ ভাল প্রভাব ফেলবে দু’‌দিন কলকাতা শহরে। যেদিন ঘূর্ণিঝড় কলকাতার উপর দিয়ে বয়ে যাবে সেদিন, আর তার পরের দিন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার মহানগরীতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে গাছ উপড়ে পড়তে পারে। জল জমে সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর তাই এবার আগাম ব্যবস্থা নিয়ে রাখল কলকাতা পুরসভা। সমস্তরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে যাতে নাগরিক জীবন বিপর্যস্ত না হয়। ঘূর্ণিঝড় ‘‌দানা’‌র প্রভাবে যখন ঝড়বৃষ্টি হবে কলকাতায় তখন লোডশেডিং থাকবে কিনা এখনও জানা যায়নি।

    এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র দাপটে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দু’দিনই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস। এই বিষয়টি নিয়ে এখন তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে পথঘাটে। ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় সমস্ত দিক থেকে তৈরি আছে কলকাতা পুরসভা। এই কথা জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে কলকাতা পুরসভার অফিসারদের সব প্রস্তুতি সেরে রাখতে বলেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তবে ইতিমধ্যেই দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরের মতো পর্যটনকেন্দ্রের দিকে কড়া নজর রাখছে রাজ্য প্রশাসন। আজ সকাল থেকেই কার্যত পর্যটকহীন সমুদ্রসৈকত দেখা গিয়েছে।

    অন্যদিকে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এখন থেকেই শহরের বাতিস্তম্ভগুলির হাল খতিয়ে দেখা শুরু হয়ে গিয়েছে। যাতে কোথাও বিদ্যুতের তার সেখান থেকে বেরিয়ে না থাকে। আর্থিং সর্বত্র ঠিক আছে কিনা সেগুলিও দেখে নেওয়া হচ্ছে। যাতে কারেন্ট লেগে প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে। শহরের নানা প্রান্তে গাছ পড়লে দ্রুত সেটা সরানোর ব্যবস্থা যাতে থাকে সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এমনকী প্রত্যেকটি বরোয় থাকছে বিশেষ টিম। যাঁরা বিপদে মানুষকে সহায়তা করবে। ভারী বৃষ্টি জেরে শহরে জল জমার আশঙ্কা রয়েছে। এই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই নিকাশি বিভাগকে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় উপলক্ষ্যে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোল রুম। সব প্রস্তুতি থাকবে পাম্পিং স্টেশনগুলিতেও।

    এই ঘূর্ণিঝড় দানা উপলক্ষ্যে অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কলকাতা পুরসভার কমিশনার ধবল জৈন। সেই বৈঠকের পর সন্ধ্যায় গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। কলকাতা পুরসভার এক অফিসার জানান, ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ভাঙা গাছ বা উপড়ে পড়া গাছ সরাতে হাইড্রলিক ল্যাডার, ক্রেন, পে লোডার, ডাম্পার রাখা হচ্ছে। গাড়ি চলাচল করার রাস্তায় যাতে বহুক্ষণ ধরে গাছ পড়ে বন্ধ করে রাখতে না পারে তার জন্য বাড়তি নজর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অফিসারদের। পুরসভা এলাকায় মোট ৪৫০টি পাম্প রয়েছে। সব পাম্পই ওই দু’‌দিন চালু রাখা হচ্ছে। আবার পরিস্থিতি মোকাবিলায় অস্থায়ী পাম্পও রাখা থাকছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)