‘বলতে দিলে তো বলব’- আসলে মমতার উদ্দেশ্যে সেটা বলেননি অনিকেত! নিশানায় ডাক্তারই?
হিন্দুস্তান টাইমস | ২২ অক্টোবর ২০২৪
'বলতে দিলে তো বলব'- অনিকেত মাহাতোর যে মন্তব্য ভাইরাল হচ্ছে, সেটা আদৌও কি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন তিনি? সেই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ওই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেলেও এবং অসংখ্য মিম ছড়িয়ে গেলেও নবান্নের বৈঠকের পুরো ভিডিয়ো দেখলে সেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে। আর তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সরাসরি দাবি করা হয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে 'বলতে দিলে তো বলব' বলেননি অনিকেত। বরং জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ আসফাকুল্লা নাইয়াকে উদ্দেশ্য করে সেই মন্তব্য করেছেন তিনি। কিন্তু ‘মাকুরা’ মিথ্যে প্রচার করছেন বলে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে।
সোমবার নবান্নের বৈঠকে অনিকেত যখন ‘বলতে দিলে তো বলব’ কথাটা বলেন, তখন থ্রেট কালচার চালানোর অভিযোগে সাসপেন্ড হওয়া ডাক্তারদের বিষয়ে কথা হচ্ছিল। অনিকেত দাবি করেন, যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁরা ‘কুখ্যাত অপরাধী’। তাঁদের বিরুদ্ধে যদি কোনওরকম সুর নরম করা হয়, তাহলে ভুল বার্তা যাবে। সেইসময় মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, যাঁরা থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত, তাঁরাও তো কঠোর পরিশ্রম করে পরীক্ষা নিয়ে মেডিক্যাল কলেজে সুযোগ পেয়েছেন। তাঁরাই কীভাবে এরকম ‘কুখ্যাত অপরাধী’ হয়ে গেলেন?
মুখ্যমন্ত্রীর সেই প্রশ্নের উত্তর যখন দিতে শুরু করেছেন অনিকেত, তখনই কথা বলতে শুরু করেন আসফাকুল্লা। তিনি হাত দেখিয়ে অনিকেতকে চুপ করে যেতে বলেন। অনিকেত ‘দাদা, দাদা’ বলে নিজের কথাটা আগে শেষ করতে চান। তারপরও অবশ্য কথা বলে যেতে থাকেন আসফাকুল্লা। তখন চুপ করে যান অনিকেত। আর মাথা নাড়াতে-নাড়াতে সামনের টেবিলে আলতো করে ঘুষি মারেন তিনি।
তারইমধ্যে আসফাকুল্লা কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী পালটা কিছু বলতে শুরু করেন। তিনি কথা বলা শুরু করতেই অনিকেত ফের কিছু বলতে থাকেন। তবে অনিকেত নিজের কথা শেষ করার আগেই আসফাকুল্লা আবারও বলতে শুরু করে দেন। তারপর ফের কথা বলতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মুখের উপরে যখন ক্যামেরা ছিল, তখন অনিকেতকে বলতে শোনা যায়, ‘আসফাক দা বলো না, আমায় বলতে দাও।’
সেইসময় নিজের যুক্তি পেশ করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারইমধ্যে অনিকেতের একটি কথা শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘বলব, বলতে দিলে তো বলব।’ আর সেটা মুখ্যমন্ত্রীর কানেও যায়। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, বলো না অনিকেত। বলো।’ আর তারপরই অনিকেত ফের কথা বলার সুযোগ পান। তখন আর আসফাকুল্লা কথা বলেননি।
আর সেই মিনিটখানেকের মুহূর্ত দেখিয়েই তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, ‘প্রসঙ্গ: বলতে দিলে তো বলবো- যখন ডাক্তার অনিকেত মাহাতো কথা বলা শুরু করার পর আসফাকুল্লা কথা কেড়ে নিয়ে কথা বলা শুরু করলেন, তখনই দাদা-দাদা বলে থামানোর চেষ্টা এবং হালকা হাত টেবিলে ঠোকার মাধ্যমে অনিকেত ফ্রাস্টেশন প্রকাশ করছেন। মাকুরা যেটা দাবি করছে, সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যে দাবি।’